ঢাকা, রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাংলা ব্লকেড: মেট্রোরেলে যাত্রী বেড়েছে ২০ শতাংশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪, ২২:৩৯  
আপডেট :
 ১০ জুলাই ২০২৪, ২২:৪৮

বাংলা ব্লকেড: মেট্রোরেলে যাত্রী বেড়েছে ২০ শতাংশ
মেট্রোরেলে বেড়েছে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে সড়ক অবরোধের দিনগুলোতে মেট্রোরেলে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ বেড়েছে। সূত্রমতে- মেট্রোরেলে যাত্রী বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। এমনকি যাত্রীর চাপ সামলাতে কয়েকটি স্টেশনের গেইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতেও হয়েছে।

বুধবার (১০ জুলাই) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আগের দিনগুলোতে কিছু সময়ের জন্য বাংলা ব্লকেড চললেও আজই প্রথম সারাদিনই কর্মসূচি পালন করেছে আনন্দোলনকারীরা।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, সাধারণত আমরা প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করি কিন্তু গত কয়েক দিনে প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোতে চলাচল করেছে। মতিঝিল, সচিবালয়, কারওয়ান বাজার ও উত্তরা উত্তর স্টেশনে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ছিল।

সাময়িকভাবে গেট বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি জানান, প্রথম তলায় যাত্রী অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। ভিড় বেশি হয়ে গেলে সাময়িকভাবে ওই স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। যখন যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে চলে যায় এবং প্রথম তলা কিছুটা ফাঁকা হয় তখন গেট খুলে দিয়ে যাত্রীদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী আন্দোলনে আজ (বুধবার) সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন'। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে এই কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দুদিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে আজ সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে। তবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সড়ক অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

এর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের পর সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে পুরো কোটাব্যবস্থা বাতিল করে। ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন। গত ৫ জুন রায় ঘোষণায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ার বাধা দূর হয়। ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটিতে পক্ষভুক্ত হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান আবেদন করেন। এরপর আজ (বুধবার) আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত