খাগড়াছড়িতে চলছে ১৪৪ ধারা, জনমনে আতঙ্ক
প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:০৪ আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:১২
খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌর এলাকায় জারি করা অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা চলছে। একদিন পেরোলেও সেখানকার বাসিন্দাদের মাঝে এক ধরনের ভয়-আতঙ্ক কাজ করছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে সীমিতসংখ্যক দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সড়কে খুব কম যানবাহন চলাচল করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। দোকানপাট এখনও সব বন্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শিক্ষক হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার শহরের পানখাইয়াপাড়া সড়ক ও মহাজনপাড়ায় অন্তত ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। দোকানের মালামাল সড়কে এনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। দোকানগুলোর অধিকাংশই কাপড়, চীবর, বিউটি পার্লার ও খাবারের। একটি প্রাইভেট হাসপাতালও ভাঙচুরের শিকার হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই পাহাড়িদের মালিকানাধীন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে। খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে একই প্রতিষ্ঠানের পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।
ওই স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে পাহাড়ি ও বাঙালি ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েক জায়গায় পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কয়েকটি মোটর সাইকেল ও গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি পোড়ানোও হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরবর্তীতে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। পরে সেই মামলা থেকে খালাসও পেয়েছিলেন সোহেল রানা।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি