ঢাকা, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনও হুমকির মুখে: নোয়াব সভাপতি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩১

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনও হুমকির মুখে: নোয়াব সভাপতি
ফাইল ছবি

এখনও দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলে দাবি করেছেন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি মাহফুজ আনাম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে নোয়াবের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে রাজনৈতিক দলের সাথে এ মতবিনিমিয় সভা আয়োজন করে নোয়াব।

অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম আরও মন্তব্য করেন, মত প্রকাশ করতে দেয়নি বলেই শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।

মাহফুজ আনাম বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা এখনও হুমকির মুখে এবং আপনাদের (রাজনৈতিক দল) সাহায্য আমাদের খুব দরকার। আমরা আপনাদের মত প্রকাশ করব, আবার সমালোচনাও করব। কেননা, সমালোচনা করতে দেয় নাই বলেই আমি মনে করি, হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।

এসময় মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন।

৫ আগস্টের পর গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে হবে, এমনটা কখনো ভাবিনি বলে সভায় মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নৈরাজ্য সৃষ্টি বা হঠকারিতার দিকে যাওয়া জাতির জন্য আবারও বড় ক্ষতির কারণ হবে। কিছু মানুষের কথা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানান, বিএনপি সবসময় স্বাধীন গণমাধ্যমের পক্ষে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান বাক স্বাধীনতা,গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে কিছু মানুষ তারা জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন। আবার কিছু কথা বলা হচ্ছে, আমার কাছে মনে হয় এগুলো নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, অ্যানার্কির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এটা বন্ধ করা দরকার।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতারা জানান, বর্তমান সরকার কোনো রাজনৈতিক দল বা শক্তি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে না, তাই তাদের কাছে সব চাওয়া পূরণ সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, এই ক্রাইসিসে অনুষ্ঠানটা ইনফরমাল করা উচিত ছিল। এই সরকারটা দুর্বল সরকার। আপনারা যদি সত্যি প্রটেকশন চান তাহলে আপনাদের ওই ক্যাম্পেইনটা শুরু করতে হবে, যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে জনগনের হাতে আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ক্ষমতাটা দিয়ে দেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, আমাদের জাতীয় ঐক্য যদি তৈরি না হয়, তাহলে আমাদের এই অভ্যুত্থানের যে স্বপ্ন ও আকাঙ্খা সেটা ব্যর্থ হবে। গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। এখানে আবার ফ্যাসিজম ফিরে আসলে পুরো জাতি আবার চরম অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।

সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ছোট দলগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে বলেও দাবি বিভিন্ন দলের নেতাদের।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত