ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ফেসবুকে অন্তরঙ্গ ছবি, সাবেক স্ত্রীর হাতে যুবক খুন

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৭:১৭

ফেসবুকে অন্তরঙ্গ ছবি, সাবেক স্ত্রীর হাতে যুবক খুন

চট্টগ্রামের ফয়'স লেক এলাকার লেকসিটি হোটেলে মাঈনুদ্দিন শাহরিয়াকে হত্যা করেন তারই সাবেক স্ত্রী রোকসানা আকতার পপি। ২০১২ সালে তাদের বিয়ে হয় এবং ২০১৫ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ছাড়াছাড়ির পর ফেসবুকে অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে ট্যাগ করায় নৃশংসভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন রোকসানা আক্তার পপি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৫ আগস্ট পপি চীন থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পরের দিন মাঈনুদ্দিন শাহরিয়া শুভকে নিয়ে ফয়'স লেকের লেকসিটি মোটেল ফাইভ হোটেলে রুম ভাড়া নেন। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাঈনুদ্দিন শাহরিয়ারকে গলা কেটে পালিয়ে যান পপি। পরে তাকে আলফালাহ এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে দাম্পত্য কলহের কারণে বিচ্ছেদের পর মেডিকেলে পড়তে চীন চলে যান পপি। মাঈনুদ্দিন শাহরিয়ার তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে দেয়ার ক্ষোভ থেকেই পপি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ‘২০১২ সালের তাদের বিবাহ হয় এবং ২০১৫ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু কোনো এক কারণে তারা (পরিবার) জানে না যে, তারা এই হোটেলে অবস্থান করছিল। আমরা পরিধেয় বস্ত্র দেখে যেটা জানতে পারি এবং হোটেল কর্তৃপক্ষের বর্ণনা অনুযায়ী, তার (নিহত মাঈনুদ্দিন) প্রাক্তন স্ত্রী রোকসানা আক্তার পপি, সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করে। মেয়েটির পরিচয় শনাক্ত করা হয় এবং তার স্থানীয় বাসা সেখানে পরিচয় শনাক্ত করার পরে ডিসি নর্থ এবং আমাদের পুলিশের পুরো টিমটা তারা ঢাকায় ইমিগ্রেশনে জানায় যে, সে যাতে বাংলাদেশ থেকে যেতে না পারে। তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আমাদের পুলিশ টিম তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।’

আমেনা বেগম আরো বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বীকারোক্তি দেয় যে, সে ডিভোর্স হওয়ার পরে কিছুদিন আগে এই মৃত মাঈনুদ্দিন মেয়েটির কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি একটা ফেক আইডি তৈরি করে তাকে ট্যাগ করে এবং দেখানোর কারণে সে ক্রুদ্ধ ছিল এবং রাগের কারণে সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে পুলিশকে প্রাথমিকভাবে জানায়।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত