ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

‘বড়পুকুরিয়ায় চুরি বা দুর্নীতি নয়, টেকনিক্যাল লস হয়েছে’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫৪  
আপডেট :
 ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০০

‘বড়পুকুরিয়ায় চুরি বা দুর্নীতি নয়, টেকনিক্যাল লস হয়েছে’
বড়পুকুরিয়া খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমদ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কোনো ‘চুরি বা দুর্নীতি হয়নি’ বলে দাবি করেছেন খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমদ। বুধবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংস্থার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান কয়লা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা।

এর আগে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা গায়েবের ঘটনা তদন্তের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত পেট্রোবাংলার আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারা সবাই খনির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।

খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ কয়লা চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত বলে এই ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাবিব উদ্দিন আহমদ জানান, ‘শুরু থেকেই বড়পুকুরিয়ায় টেকনিক্যাল লস হয়েছে। আমরা সেটাই প্রমাণের চেষ্টা করছি। আসলে এখানে কোনো চুরি হয়নি। ইনশাআল্লাহ তদন্তে সেটাই একদিন প্রকাশ হবে।

খনির সাবেক এই কর্মকর্তা দাবি করেন, ‘২০০৫ সাল থেকে বড়পুকুরিয়ায় যে কয়লা ছিল, এখানে আমাদের ১ দশমিক ৪ শতাংশ সিস্টেম লস হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে সর্বনিম্ন ২ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত সিস্টেম লস গ্রহণযোগ্য।’

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকে সিস্টেম লস পরিমাপ করার সুযোগ ছিল না।’

প্রসঙ্গত, বুধবার দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিল পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমদ, কোম্পানির সেক্রেটারি আবুল কাশেম প্রধানিয়া ও মোশারফ হোসেন সরকার; মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার; ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার; ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান; ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) জাহিদুল ইসলাম এবং উপব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক-কে।

এর আগে, গত ১৩ আগস্ট পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ৩২ কর্মকর্তাকে তলব করে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এর মধ্যে ১৬ আগস্ট সাত জন, ২৮ আগস্ট আট জন, ২৯ আগস্ট আট জন ও ৩০ আগস্ট বাকি ৯ জনকে পর্যায়ক্রমে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পেট্রোবাংলার ১৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও ৯ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত