ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

কবিতা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৭

কবিতা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের সেবা করার সংকল্প ব্যক্ত করে এই দেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতে গিয়ে তার বক্তব্যে তিনটি কবিতার উল্লেখ করেছেন। বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই কাব্যময় বক্তব্য রেখেছেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতেই মার্কিন কবি রবার্ট ফ্রস্টের বিখ্যাত কবিতা ‘স্টপিং বাই উডস অন এ স্নোয়ী ইভনিং’ থেকে দু’টি পংক্তি “উডস আর লাভলি, ডার্ক এন্ড ডীপ/ বাট আই হ্যাভ প্রমিসেজ টু কীপ/ এন্ড মাইলস টু গো বিফোর আই স্লীপ” উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের মতো করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত করে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই এবং আগামীর বাংলাদেশ হবে সুন্দর, উন্নত ও সমৃদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের চলার পথ কখনই মসৃণ ছিল না, কন্টকাকীর্ণ ছিল, তবুও আমরা এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই আমি এটুকুই বলবো, আমি এগিয়ে যেতে চাই যতই অন্ধকার আসুক, ঘন দুর্যোগ আসুক, যতই গভীর হোক জঙ্গল কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার পথ সে পথ করে নিতেই হবে।

বক্তব্যের দ্বিতীয় কবিতার অংশ হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত ‘ছাড়পত্র’ কবিতার পংক্তি উদ্ধৃত করে বলেন, চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল/ এ বিশ্বকে এ- শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি-/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা পুনরায় দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেন, নির্বাচনে জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে আবার ক্ষমতায় আসবেন। আর যদি নাও আসেন তাহলেও আফসোস নেই। কারণ বাংলাদেশকে যে উন্নয়নের মহাসড়কে তিনি তুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন তার থেকে বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ৩য় কবিতার অবতারণা করে জীবনানন্দ দাসের ভাষায় তিনি বলেন, আবার আসিব ফিরে এই ধানসিঁড়িটির তীরে, এই বাংলায়।

তিনি বলেন, আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করবো, ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো। ইনশাআল্লাহ তখন বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করেই আমরা গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলায় তার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে এ সময় বলেন, শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেই তাঁর সরকার স্বাধীনতার সুফলকে জনগণের ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত