ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সন্তানের মরদেহের পাশে দা হাতে বসে আছেন বাবা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩  
আপডেট :
 ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩৬

বাংলামোটরে বাবার হাতে শিশু সন্তান খুনের অভিযোগ

রাজধানীর বাংলামোটর এলাকার একটি বাসায় সাফায়েত নামে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, শিশুটির মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এলেও বাসার ভেতরে এখনো ঢুকতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ ভেতরে মরদেহের পাশে ধারালো দা হাতে বসে আছেন শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান কাজল। তিনিই কাউকে বাসায় প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। অন্যদিকে কাজলের ভাই নুরুল হুদা উজ্জ্বলের দাবি, শিশুটিকে তার বাবাই খুন করেছে।

বুধবার সকালে বাংলামোটরের ১৬ নম্বর লিংক রোডের একটি বাড়ির দোতলা এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় শাহবাগ থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঘটনাস্থলে আগে থেকেই ভিড় জমিয়েছেন কাজলের স্বজন ও প্রতিবেশীরা। সেখানে থাকা কাজলের ভাই নুরুল হুদা উজ্জ্বল বলেন, কাজলের দুই সন্তান। একজন সাফায়েত, তার বড় আরেকজন আছে সুরায়েত। আমরা সাফায়েতের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। সকালে বাসায় ঢুকতে গিয়েও পারিনি।

কাজলকে মাদকাসক্ত দাবি করে উজ্জ্বল বলেন, বাবাই খুন করেছেন সাফায়েতকে। কারণ কাজল মাদকাসক্ত। আর আমরা যখন বাসায় ঢুকতে গেছি, তখন কাজল আমাদের দিকে দা নিয়ে তেড়ে আসেন। সুরায়েত বাবার কাছেই আছে।

অবশ্য ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, কাজল ও উজ্জ্বলের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ আছে।

ঘটনাস্থলে থাকা শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, একটা বাচ্চার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। কিন্তু আমরা বাসার ভেতরে ঢুকতে পারছি না। ভেতরে রয়েছেন শিশুটির বাবা কাজল। তাকে বুঝিয়েও বাসায় ঢুকতে পারিনি। এখন বিকল্প কোনো উপায় বের করতে হবে।

র‌্যাব-২ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা কাজলের দোতলার বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করেও পারিনি। তিনি এক সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছেন। হাতে তার ধারালো দা রয়েছে। আরেক সন্তানকে কাফনের কাপড় পরিয়ে টেবিলের ওপর রেখেছেন। ভেতরে হুজুরের মতো একজনও দেখতে পেলাম।

কাফনের কাপড়ে রক্ত দেখা গেছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রক্ত দেখলাম না। আমরা বোঝাতে চাইলেও কাজল বলছেন, কে ডেকেছে আপনাদের? আপনাদের আসার দরকার নেই। ১টা বাজলেই আমার সন্তানকে দাফন করবো। আপনারা চলে যান।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত