ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

মানবঢাল তৈরি করে মির্জা আব্বাসকে রক্ষা করেন নেতাকর্মীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৮

মানবঢাল তৈরি করে মির্জা আব্বাসকে রক্ষা করেন নেতাকর্মীরা

গণসংযোগ চালানোর সময় ঢাকা-৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে সেগুনবাগিচা মসজিদ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। ৩০/৪০ জন যুবক এ হামলা চালায়। হামলার সময় মানবঢাল তৈরি করে মির্জা আব্বাসকে রক্ষা করেন নেতাকর্মীরা।

এই আসনে নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শনিবার দুপুর বেলা একটার দিকেসেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের সামনে ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রথমে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে আব্বাসের কর্মীদের ধাওয়া দেওয়া হয়, পরে তার কর্মীদের ওপর হামলা হয়। ঘটনার সময় মির্জা আব্বাস কমিশনারের কার্যালয়ের ভেতরে ছিলেন। সেখান থেকে বের হলে লাঠিসোটা নিয়ে মির্জা আব্বাসের ওপর চড়াও হয় একদল দুর্বৃত্ত। এসময় সাথে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন।

এ ঘটনার পর শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শাহজাহানপুরে নিজ বাসভবনে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, হামলার সময় দলের নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা না করলে আমি মরেই যেতাম।

হামলার বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি নেতা-কর্মীদের বাইরে রেখে বাজারে ঢুকি। একপর্যায়ে হঠাৎ দেখি একদল ছেলে হিংস্র মারমুখী মনোভাব নিয়ে আমার নেতা-কর্মীদের বেধড়ক পেটাচ্ছে। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাদের থামানোর চেষ্টা করে আহত হয়েছেন। এক কর্মীর হাত ভেঙে গেছে। তাঁরা না থাকলে হয়তো আপনাদের সামনে কথা বলতে আসতে পারতাম না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে তো কোনো অস্ত্র ছিল না। লিফলেটই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এর মধ্যে আমরা আঘাতের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। জানে তো বেঁচে গেছি। তবে এমন আঘাত এলে বীরের মতো বুক পেতে নেব, পিঠে আঘাত করতে দেব না। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ওপর হামলা-মামলা হচ্ছে, এসব মোকাবিলা করেই আমরা নির্বাচনে আছি। আমরা পলায়নপর হব না।’

মির্জা আব্বাস বলেন, হামলা-মামলা হলেও তারা নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাবে না। আঘাত এলে বীরের মতো বুক পেতে নেবেন, পিঠে আঘাত করতে দেবেন না।

তার অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় তার কম–বেশি ৬০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী। সেই প্রচারণা মিছিল থেকেও সাতজনকে আটক করার অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস।

নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘চেষ্টা করব আমার সব ভোটারের কাছে পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু না পারলে তা হবে নেহাত অপারগতা। আমার বাসায় লিফলেট পড়ে আছে, ওদের (আওয়ামী লীগের) লিফলেটে তো ঢাকা শহর ছেয়ে গেছে। সরকারের যে বিরূপ আচরণ, তাতে তো নির্বাচনের ফলাফল অনুমেয়। তবুও আমি ভবিষ্যৎ বলতে চাই না।’

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শাহবাগ ও রমনা থানায় অভিযোগ করেছি। রমনা থানা অভিযোগ গ্রহণই করল না।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বলেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা করছে। আমরা ভোট দিতে যাব এবং আশা করব ভোটের প্রতিফলন বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আসবে।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত