ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য অসত্য: সিইসি

  রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০৯

মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য অসত্য: সিইসি

‘আমি মনে করি না নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে’- গতকাল এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তবে তার সে বক্তব্যকে অসত্য ও ব্যক্তিগত বলে জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

মঙ্গলবার রাঙামাটিতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। নির্বাচনে ছোটখাটো কিছু সংঘাত হয়ে থাকে, সেটা তেমন বড় কিছু নয়। সেগুলো আবার স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই সমাধান করছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিলনায়তনে তিন পার্বত্য জেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় পাহাড়ে প্রত্যেকটা কেন্দ্রে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমতলের মতো পার্বত্য এলাকায়ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচন সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

সোমবার নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে, আপনি তার এই কথার বিরোধিতা করেছেন? এই প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি কখনো তার বক্তব্যের বিরোধিতা করি না। তিনি তার কথা বলেন। আমি প্রয়োজনে ভিন্নমত প্রকাশ করি।

সারা দেশে বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ সম্পর্কে কমিশনার বলেন, আমি আশাবাদী মানুষ। এখনো যেটুকু সময় আছে তাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। নির্বাহী, বিচারিক ও ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির হাকিমদের আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত। সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জকভাবে পাল্টে যাবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কি না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হয়ে অংশগ্রহণমূলক হলে তাতে কোনো লাভ নেই।

নির্বাচনে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে কি না? জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না। রিটার্নিং কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আছে। তাঁদের বাহিনীর সদস্যরা কতটা তাদের নিয়ন্ত্রণে আছেন, তা তারাই বলতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত