ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

জানতে চান সিইসি

কোথায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই?

  চট্টগ্রাম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:২০

কোথায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই?

নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে নানামুখি আলোচনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের সংজ্ঞা কী? এ কথা বারবার বলা হয় কেন, লেভেল প্লেয়িং ঠিক নেই? কোথায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই, কিসের ফিল্ড ঠিক নাই?

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে দায়িত্বরত মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় তিনি এ সব কথা বলেন।

সভায় সিইসি আরও বলেন, এবার রেকর্ডসংখ্যক প্রায় ৩৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ১৮৪৬ জন প্রার্থী আছেন। অর্থাৎ গড়ে প্রতিটি আসনে ছয়জন। এতে প্রমাণ হয় যে, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে।

‘আমি মনে করি না নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে’- গতকাল এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এর প্রেক্ষিতে রাঙামাটিতে এক মতবিনিময় সভায় সিইসি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। নির্বাচনে ছোটখাটো কিছু সংঘাত হয়ে থাকে, সেটা তেমন বড় কিছু নয়। সেগুলো আবার স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই সমাধান করছে।

তবে মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যকে অসত্য ও ব্যক্তিগত বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

সোমবার নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে, আপনি তার এই কথার বিরোধিতা করেছেন? এই প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি কখনো তার বক্তব্যের বিরোধিতা করি না। তিনি তার কথা বলেন। আমি প্রয়োজনে ভিন্নমত প্রকাশ করি।

সারা দেশে বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ সম্পর্কে কমিশনার বলেন, আমি আশাবাদী মানুষ। এখনো যেটুকু সময় আছে তাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। নির্বাহী, বিচারিক ও ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির হাকিমদের আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত। সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জকভাবে পাল্টে যাবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কি না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হয়ে অংশগ্রহণমূলক হলে তাতে কোনো লাভ নেই।

নির্বাচনে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে কি না? জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না। রিটার্নিং কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আছে। তাঁদের বাহিনীর সদস্যরা কতটা তাদের নিয়ন্ত্রণে আছেন, তা তারাই বলতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত