ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘উপরে আল্লাহ নিচে গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৪

‘উপরে আল্লাহ নিচে গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই’

দলীয় নেতা-কমীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ধানের শীষের পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১০ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে প্রাথীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বতমানে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে উপরে আল্লাহ নিচে গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে সরকার বাহিনী কর্তৃক বারবার হামলার শিকার হয়েছি। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি।’

তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মান্নান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর সাত থেকে আটটি মামলাসহ মোট শতাধিক মিথ্যা ও গায়বী মামলায় আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিদিনই বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাধা দান মারধরসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা মারধর করছে। পুলিশ নির্দ্বিধায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গায়েবি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনী অপেক্ষায় ছিলাম যেহেতু চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের নামে মাঠে নামানোটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেহেতু আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা আমাদের প্রচার-প্রচারণা তুমুলভাবে চালাবো।

সিইসির কথা পুলিশ মানছেন না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার বাহিনী কর্তৃক বিরোধীদলীয় বাধা প্রচারণায় বাধা প্রদানের লিখিত অভিযোগ নিয়ে সিইসির কাছে গেলে তিনি জানান পুলিশ আমাদের কথা মানছেন না।

তিনি বলেন, আমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকবাল ইকবালকে তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে গেলে আমি তার সাথে দেখা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করেও সাথে দেখা করতে পারিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার দুই ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পোস্টার লিফলেট ছেড়া, পোড়ানো ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা, মাইক ভাঙচুর মেমোরি কার্ড নিয়ে যাওয়া ও পোস্টারের কাজে নিয়োজিত দিনমজুরদের গালিগালাজ করা হচ্ছে।

ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী আরো বলেন, আমার বাসভবনের চারপাশে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করা এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আমার কর্মীসমর্থকরা আমার সাথে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেখা করতে আসতে পুলিশ গ্রেপ্তার আতঙ্কে থাকেন। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশন উপস্থিত হয়ে সরাসরি অভিযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

এসময় তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা কৌশলে আমাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তারা অামাদের একেবারে সিনিয়র নেতাদের চেয়ে যারা ভালো সংগঠক তাদেরকেই হামলা মামলা করে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে।

এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএসএস/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত