ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

আন্দালিব রহমান পার্থের ভোট বর্জন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:০৮  
আপডেট :
 ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:১২

আন্দালিব রহমান পার্থের ভোট বর্জন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ওদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট বর্জনের হিড়িক উঠেছে। ঢাকা-১৭ আসনে ধানের শীষ প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ নির্বাচন বর্জন করেছেন। ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি-জামায়াত প্রার্থীরা, আছেন লাঙল প্রতীকের প্রার্থী। সর্বশেষ খবর পাওয়া ভোট বর্জন করেছেন ১৬ জন ধানের শীষের প্রার্থী।

ঢাকা-১ সালমা ইসলাম

ঢাকা-১ আসনে নির্বাচনে বর্জন করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সালমা ইসলাম। সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন তিনি। সালমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য আমি সরে দাঁড়ালাম। ওই আসনে ফের নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান সালমা ইসলাম।

ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ

ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা–শালথা) আসনে বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

বাগেরহাট-৩ শেখ আব্দুল ওয়াদুদ

বাগেরহাট-৩ (মংলা ও রামপাল) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এবং জামায়াত জেলা নায়েবে আমির মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। দুপুর ১২টায় খোলা কাগজ প্রতিনিধিকে ফোন করে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ‘আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা করলাম। দুপুর দেড়টায় আমি সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবো।’ এসময় তিনি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।

কুমিল্লা-১১ ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের নির্বাচন বর্জন করেছেন। রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোটার, নেতাকর্মী এবং প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রেলমন্ত্রী মজিবুল হক।

খুলনা-১ সুনীল শুভ রায়

খুলনা-১ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনীল শুভ রায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় বলেন, এ রকম কলঙ্কিত ভোট আমি কোনো দিন দেখিনি। সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কাউকে গাছের সঙ্গে বেঁধেও রাখা হয়েছে। যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন তাদেরকে ব্যালট পেপার টেবিলের ওপর রেখে নৌকায় সিল দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এখানে কোনো সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। তাই আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।

খুলনা-৫ গোলাম পরওয়ার

ভোট বর্জন করেছেন খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি কেন্দ্রীয় জামায়াতের নায়েবে আমির। রোববার সকাল ১০টায় তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় এই জামায়াত নেতা অভিযোগ করে বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশও ভোটারদের মুখ চিনে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন করা অসম্ভব।

খুলনা-৬ আবুল কালাম আজাদ

খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোট বর্জন করেছেন। আজাদ নাশকতার মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগর আমির শাহ আলম বেলা ১২টায় ঘোষণা দেন, ‘এই নির্বাচনে আমাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা এ নির্বাচন বর্জন করছি।’

পাবনা-৫ ইকবাল হোসেন

এদিকে পাবনা-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা ইকবাল হোসেন ভোট বর্জন করেছেন। প্রার্থী নিজেই সাংবাদিকদের ফোন করে এই তথ্য জানান। ভোট জালিয়াতি, তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি ভোট বর্জন করেছেন বলে জানান।

নীলফামারী-৩ অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম

নীলফামারী-৩ আসনে ভোট বর্জন করেছেন ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম। খোলা কাগজের পক্ষ থেকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র দখল করে সিল মারাসহ আমার এজন্টন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই।

সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম

অনিয়ম, জাল ভোট, ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের ভোগ এনে সাতক্ষীরা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বেলা ১২টার দিকে কারাগারে থাকা জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলামের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক জামায়াতের উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল জলিল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাতেই জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। এখন ভোট কেন্দ্র দখল করে সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য আমরা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাগেরহাট-৪ আব্দুল আলীম

বাগেরহাট-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও জেলা জামায়াত নেতা আব্দুল আলীম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি এই ঘোষণা দেন। ভোট বর্জনের কারণ হিসেবে স্থানীয় সাংবাদিকদের আব্দুল আলীম জানান, কেন্দ্রে তার পক্ষের ভোটার ঢুকতে না দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের এজেন্টদের সামনে ভোটারদের জোরপূর্বক ভোট দিতে বাধ্য করায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও-২ আব্দুল হাকিম

ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ও কাশিপুর ইউনিয়ন) আসনে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাকিম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাধবপুর গ্রামে নিজ বাসবভন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থীর পক্ষে তার স্ত্রী জাকারিয়া জাবীন এ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্ট এবং ভোটারদের যেতে বাধা দিচ্ছে না প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর লোকজন। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী রিটানিং অফিসার এবং রিটানিং অফিসারকে অভিযোগ করেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এজন্য তিনি সমস্ত নেতাকর্মীদের সরে আসতে বলেছেন। তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবী জানান।

গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান

গাইবান্ধা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মাজেদুর রহমান মাজেদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

গাইবান্ধা-৫ ফারুক আলম সরকার

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী দুপুর দেড়টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

ঢাকা-১৭ আন্দালিব রহমান পার্থ

ঢাকা-১৭ আসনের ধানের শীষ প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। গণমাধ্যমে ফোন করে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক

অনিয়ম, জাল ভোট, ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা-২ ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক নাশকতার মামলায় কারাগারে থাকার কারণে তার পক্ষে জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানিয়েছেন, আমাদের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাতেই জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। আর সদর আসনে ইভিএম পদ্ধতিতেও ভোট গ্রহণ হলেও ভোট কেন্দ্র দখল করে সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য আমরা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কমকর্তা কামরুল ইসলাম ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কমকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, এ বিষয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষে কেউ অবিহত করেননি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত