ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর কোনো কথাই ফেলতে পারেন না মুহিত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:০০  
আপডেট :
 ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৭

ফের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক মুহিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আরো এক বছর অর্থমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করতে চান আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ ইচ্ছার কথা জানান তিনি।

আরো এক বছর অর্থমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোনো কথাই আমি ফেলতে পারি না।

নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর হয়ে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি ভোট পড়েছে। উন্নত দেশগুলোতে ৪০ শতাংশ ভোট হলেই তারা খুশি হয়। আর আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ ভোট হলে আমরা খুশি। তবে এবার ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে, এতে বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। একাধারে ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন অনেক হয়, জনগণ সেটা বুঝে ফেলেছে। একই সঙ্গে মানুষ এবার বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব না। তাই এ বছর জনগণ বেশি ভোট দিয়েছে।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। তবে দারিদ্র্যমুক্ত প্রতিটা দেশেই কিছু সংখ্যক দরিদ্র সবসময় সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকে। দারিদ্র্য হ্রাসের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মালয়েশিয়া, তাদের বর্তমান দারিদ্র্য হার ৭ শতাংশ। আমাদের দেশেও প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের মতো কিছু দরিদ্র থেকে যাবে। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য আমাদের ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী ৫ বছরেই এটা করা সম্ভব হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ভালো কাজ করেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। দেশের মানুষের ধারণা এবার পাল্টেছে। তারা বুঝতে পেরেছে সরকারেরর ধারাবাহিকতা থাকলে উন্নয়ন হয়। এজন্য আগামী পাঁচ বছরে দেশের অর্থনীতি অসাধ্য সাধন করবে।

ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এবার নববর্ষের শুভেচ্ছাটা বেশ স্বস্তিদায়ক। আশানুরূপ ফল পেয়েছি। আমি মনে করি, টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত