কিশোরগঞ্জে নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তর
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:২৬
কিশোরগঞ্জ শহরতলীর খিলপাড়া এলাকায় নতুন কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি স্থানান্তর কার্যক্রম শেষ হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এক হাজার ৩৮৩ জন বন্দিকে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরমধ্যে পুরুষ এক হাজার ৩৫১ জন ও নারী বন্দি রয়েছেন ৩২ জন। আটটি প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পুরাতন কারাগার থেকে বন্দিদের নতুন কারাগারে নেয়া হয়। গত বছরের পহেলা নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার উদ্বোধন করেন।
বন্দী স্থানান্তর কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে শহরতলীর খিলপাড়া এলাকার নতুন এবং শহরের গাইটাল বটতলা এলাকার পুরাতন কারাগারে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। সকাল থেকে পুরাতন কারাগার থেকে নতুন কারাগার পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর পুলিশের চৌকস দলের নেতৃত্বে বন্দিদের নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ আমলে শহরের গাইটাল বটতলা এলাকায় মহকুমা কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। ওই পুরনো কারাগারটি অনেকটাই ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া এখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কয়েকগুণ বন্দিকে অনেক কষ্ট করে থাকতে হতো। পুরাতন কারাগারে ২৪৫ জন বন্দির স্থলে প্রায়ই হাজারেরও বেশি বন্দিকে রাখা হতো।
৭০ বছর পর স্থানান্তরিত হলো কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার। জেলা শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকায় ৩০ একর জমির ওপর নতুন কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। দুই হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন কারাগারটিতে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তবে নবনির্মিত কারাগারটি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১ এবং পুরাতন কারাগারটি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-২ হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কিশোরগঞ্জের জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ জানান, নতুন কারাগারটিতে এক হাজার ৫০০ পুরুষ ও ৫০০ নারী বন্দি থাকতে পারবেন। নতুন কারা হাসপাতালে ২৪ জন পুরুষ ও চারজন নারী থাকতে পারবেন। তাছাড়া এখানে ১৪ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিও থাকতে পারবেন। এ কারাগারে ফাঁসির মঞ্চসহ রয়েছে বিভিন্ন সেল।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তর করা হয়েছে। বন্দি স্থানান্তরে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ
