ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

নবাবগঞ্জে ইটভাটায় ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম

  নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০০

নবাবগঞ্জে ইটভাটায় ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটার মালিকরা শ্রম আইন না মেনে ইট তৈরি ও ইট টানার কাজে শিশু শ্রমিকদের ব্যবহার করছেন। শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে দেশে বর্তমান সরকার জাতীয় শিশুশ্রম নীতি প্রণয়ন করলেও অধিকাংশ ইটভাটাগুলোতে সেই নীতি মানা হচ্ছে না।

বাংলাদেশের প্রচলিত শ্রম আইন ও কারখানা আইন ও শিশু আইন অমান্য করে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের দোহার ও নবাবগঞ্জের ইটভাটায় প্রায় ৪শ’ শিশু কাজ করানো হচ্ছে। যাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৮ থেকে ১০ বছর। প্রত্যেক ছেলে ও কন্যা শিশু ভোর ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভাটাগুলোতে কাজ করে থাকে। গড়ে ১০ ঘন্টা কাজ করে এসব শিশু ভাটাতেই ঘুমায়। দৈনিক আয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এদের লেখাপড়া ও ধর্মীয় শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই এসব ইটভাটায়।

সরে জমিনে দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শিকারীপাড়া এলাকার ডিএনবি ও চুনাকাটিবিল এলাকায় অবস্থিত জেবিসি, সাহেবখালীর জে.বি.সি, জেপিবি, মাঝিরকান্দা এলাকায় ডি.এন.বি ও শোল্লা পালিঝাপের এস.এসবি ব্রিকস (এ.এ.বি) কৈলাইল ইউনিয়নে জে.বিসি (এনডিএস) ব্রিকস, এনবিএস, কে.এইচ.বি, জে.বি.সি (এনডিএস) নামের ব্রিকফিল্ড প্রতিষ্ঠানে শিশুশ্রমের ভয়াবহ চিত্র লক্ষ করা যায়। দারিদ্র্যের কারণে এসব শিশুরা ইটভাটার কাজে যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয় অধিবাসী ও শিশুদের অভিভাবকরা। সুযোগ বুঝে ইটভাটার মালিকরা এসব শিশুদের সল্প বেতনে দিন রাত কাজ করাচ্ছেন। আর এসব শিশুদের বেশিরভাগ সিলেট, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ ও রাজবাড়ি এলাকা থেকে কথিত দালাল চক্র নিয়ে এসে বার্ষিক চুক্তিতে ইটভাটার মতো কায়িক শ্রমের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করছে।

বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও নিরসনে কাজ করলেও মালিকরা এ দেশের বহু শিশু দারিদ্র্যের কারণে বিভিন্ন কায়িক ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকগণ। তাদের দাবি ইটভাটাসহ যেসব প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিয়োগ করছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত