চেয়েছিলেন টিন পাচ্ছেন ঘর

হতদরিদ্র মানুষ ঘর নির্মাণের জন্য টিন চেয়েছিলেন। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান তাদের একটি করে ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রায় দুই হাজার দরিদ্র মানুষের হাতে শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার তুলে দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি দাওয়া উপস্থাপন করেন। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পঞ্চগড় জেলার জন্য অতিরিক্ত ১০ হাজার শীতবস্ত্র, নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ২০০ টন জিআরের চাল বরাদ্দ দেন। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা হতদরিদ্র, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঢেউটিন দেয়ার দাবি জানালে প্রতিমন্ত্রী টিনের বদলে জেলায় যাদের ঘর নেই এমন পাঁচশটি পরিবারকে আগামী জুনের মধ্যে ১ টি করে ঘর নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা চাইলেন টিন, পাইলেন ঘর। এটাই শেখ হাসিনার সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে মানুষ না খেয়ে থাকে না। মানুষ কিছু পায়, দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ চালাতে হয়, সরকার চালাতে হয়। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়। তারপরও তিনি উত্তরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষের কথা ভোলেননি। তিনি শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরাঞ্চলের ২০ জেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসান, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, দেবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ, বোদা পৌরসভার মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী। সভায় শৈত্য প্রবাহ ও শীতের প্রকোপ মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। বুধবার পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে