ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষিকার উদ্যোগে পিঠা-পুলির উৎসব

  চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৩  
আপডেট :
 ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:১৮

শিক্ষিকার উদ্যোগে পিঠা-পুলির উৎসব

ধানের দেশ গানের দেশ আমাদেরই বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা উৎসবের মতো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির উৎসব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে। যা এখন বিলুপ্ত প্রায়। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলিকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তপুর উপজেলার বাবুরঘোন গ্রামে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসবের। নাচ-গান, বাহারি নকশা আর মজাদার সব পিঠা নিয়ে জমে উঠে এই উৎসব। দিনভর জমজমাট এ উৎসবে যোগ দেয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও। শীতকালে পিঠার আয়োজন গ্রাম-বাংলার অন্যতম একটি উৎসব। এ সময়টাই প্রায় সব বাড়িতেই কমবেশি নতুন ধানের পিঠা-পুলি বানানো হলেও এ উৎসব একটু অন্যরকম। গ্রামের কৃষাণ-কৃষণীর ছেলে-মেয়েদের মনে আনন্দ দেয়ার জন্য নাচ-গান ও পিঠা উৎসবের এই আয়োজন করেন উত্তর রহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মমতাজ খাতুন।

এদিকে এ উৎসবকে উৎসাহিত করতে অংশ নেয় এলাকার ছাত্র-ছাত্রী ও উৎসাহী কৃষাণীরা। ধান থেকে ঢেঁকিছাঁটা চাল যাঁতায় পিষে সেই আটা থেকে তৈরি করা হয় নানারকম পিঠা। আর এই পিঠা উৎসবে গ্রাম বাংলার গীত গেয়ে আনন্দ করে স্থানীয়রা। আর পাশাপাশি শেখানো হয় কিভাবে পিঠা বানার কাজটিও। এ কারণে ছেলে-মেয়েদের আনন্দের মাত্রাটাও বেশি। যার জন্য অপেক্ষা করে সারাবছরই। পিঠা-পুলি উৎসবের আয়োজক মমতাজ খাতুন জানান, মূলত হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এবং সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মের পরিচয় করিয়ে দিতেই ৯ বছর বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছেন মমতাজ। আর ঐতিহ্য ধরে রাখার এই উৎসব আগামীতে আরো বড় পরিসরে করার কথা জানান তিনি।

সাংস্কৃতিককর্মী ও এবি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, হারিয়ে যাওয়া এই ঐহিত্য ধরে রাখতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। আর পিঠা-পুলি উৎসব শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় গীত, নাচ-গান পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত