ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

অপহরণের পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৩৭

অপহরণের পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অপহরণের পর এক ব্যক্তিকে আটক করে নির্মম নির্যাতনের পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি। অপহরণের ৪ দিন পর পুলিশ মুমূর্ষ অবস্থায় শাহআলম (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার ও অপহরণের মূল হোতা আলমগীর হোসেন (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে।

আড়াইহাজার থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জানুয়ারি রোববার সকাল ১০টার দিকে আলমগীরসহ আরো ৫ যুবক সোনারগাঁ উপজেলার মদনপুর থেকে শাহআলম নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে। অপহরণের পর আড়াইহাজার উপজেলার ব্রা‏হ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোপিন্দী এলাকার অপহরণকারী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে অপহৃতকে আটকে রাখে। সেখানে তাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালানো হয় এবং তার স্বজনদের কাছে ফোনে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

অপহরণকারীদের মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ না করায় তারা শাহআলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ঘরে ফেলে রেখে অপহরণকারীরা চলে যায়। পরে কৌশলে শাহআলম ঘর থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী এক লোকের মোবাইল দিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান পুলিশকে।

পুলিশ উজান গোপিন্দী গ্রামের অপহরণকারী আলমগীর হোসেনের বাড়ি থেকে শাহআলমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অপহরণের সাথে জড়িত উজান গোপিন্দী এলাকার তারা মিয়ার ছেলে মূল হোতা আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপহৃত শাহআলম কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার নলবাড়িয়া গ্রামের হাফিজ আহমদ মাষ্টারের ছেলে।

আড়াইহাজার থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক রফিউদৌলা জানান, এ ঘটনায় অপহৃত শাহআলমের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে উপজেলার উজান গোপিন্দী এলাকার আলমগীর হোসেন, হাটখোলা কালিবাড়ি এলাকার শাহেদ, সজিব, বিনারচর এলাকার রাতুল ও আরমান ও কাঠালিয়াপাড়ার মাজহারুল ইসলামমের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় অপহরণের মামলা করেন।

আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, অপহরণের সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্যে পুলিশী অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত