ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

তুমব্রু সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে বিজিপির দুঃখ প্রকাশ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৩১

তুমব্রু সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে বিজিপির দুঃখ প্রকাশ

মিয়ানমারের তুমব্রু সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার বডার্র গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।

বিজিপি কর্মকর্তারা জানান, সেখানে ব্রীজ নয়, মূলত কাটাঁতারের পিলার সংরক্ষণের জন্য কিছু স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের উচিত ছিলো প্রতিপক্ষ বডার্র গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আগে থেকে অবহিত করে কাজ শুরু করা। তা তারা করেনি। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিজিপি।

বিজিপি কর্মকর্তারা আগামীতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুরু করার আগেই বিজিবি কতৃপক্ষকে জানানো হবে আশ্বস্থ করেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান।

বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার মিয়ানমারের মংডুতে সীমান্ত বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ফিরে বিকেলে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো জানান, মাদক পাচার বিশেষ করে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ ও মিয়ানমার সীমান্তে পুতেঁ রাখা মাইন অপাসারণে সমন্বিত অপারেশন চালানোর ব্যাপারে সম্মত রয়েছে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

২১ জানুয়ারি সোমবার সকালে ১১ টা হতে বেলা ২ টা পর্যন্ত মিয়ানমারের মংডু শহরে বডার্র গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বডার্র গার্ড পুলিশের (বিজিপি) রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমের নেতৃত্ব দেন বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান। মিয়ানমারে পক্ষে সম সংখ্যক প্রতিনিধি টিমের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার মিয়েন থও।

আলোচনা সভায় দু’দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক প্রতিরোধ জোরদার করণ, যৌথ টহল জোরদার, মিয়ানমার সীমান্তের মাইন অপসারন ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ে পারস্পরিক সমন্বিত সহযোগিতা বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান।

এ ছাড়া দু’দেশে আটক অপরাধীদের সাজা শেষে যাতে স্ব স্ব দেশে ফেরত আনা সহজ হয় সে জন্য আগে থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করাসহ ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।

বিজিবি প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এসএম বায়েজিদ খান, বিজিবি বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জহিরুল হক খাঁন, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটলিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো: আসাদুজ্জামান, রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটলিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো: জাহিদুর রহমান, আলীকদম ৫৭ বিজিবি ব্যাটলিয়ন কমান্ডার খন্দকার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার রিজিয়ন পরিচালক (অপারেশন) লে.কর্ণেল মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ, মেজর মো: তারেক মাহমুদ সরকার, মেজর মোহাম্মদ বিন সাহিরুল ইবনে রিয়াজ, মেজর জিএম সিরাজুল ইসলাম।

মংডুতে বৈঠক শেষে বিজিবি প্রতিনিধি টিম বিকেলে সাড়ে ৪ টার দিকে টেকনাফ ফিরে আসেন। এর আগে ২১ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০ টার দিকে টেকনাফ সীমান্তের নাফনদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে নৌ-যান যোগে বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিম মিয়ানমারের উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা দেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত