ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

খাদ্য কর্মকর্তার অফিসে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ভাংচুর

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৩৫

খাদ্য কর্মকর্তার অফিসে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ভাংচুর

বরিশালে রেশনের খাদ্য সরবরাহ করতে টালবাহানা করার অভিযোগে সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার অফিসে ভাংচুর চালিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ওই সময় দপ্তরটির কর্মচারীদেরও মারধর করা হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তবে ফায়ার সার্ভিসের অভিযোগ, খাদ্য দপ্তরের কর্মচারীরা সদর স্টেশনের ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিনকে লাঞ্ছিত করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ভাংচুর করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার সময় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি ভেঁপু বাজিয়ে খাদ্য অফিসে ঢোকে। গাড়িগুলোতে ২০-২৫ জন কর্মী ছিলেন। তারা ওই অফিসে ঢুকেই ব্যাপক ভাংচুর শুরু করেন। সরেজমিনে খাদ্য কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে প্লাস্টিকের ভাঙা চেয়ারগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া এলোমেলো অবস্থায় বিভিন্ন কাগজপত্রও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এদিন বিকেল ৩টার দিকে রেশন তুলতে আসেন। তার আগেই গুদামের শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় তাদের পরের দিন আসতে বলা হয়। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বাহিনীর অন্য সদস্যদের খবর দেন। তারা সেখানে ঢুকে কক্ষ ভাংচুর ও কর্মচারীদের মারধর করেন।

তিনি বলেন, ভাংচুরের সময় তিনি জেলা খাদ্য অফিসে ছিলেন। খবর পেয়ে ফিরে এসে নিজের কার্যালয় ভাংচুর অবস্থায় পান। তিনি অভিযোগ করেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মারধরে উপ-খাদ্য পরিদর্শক হুমায়ুন কবির, উপ-সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা তপন, নিরাপত্তা প্রহরী রেজাউল করিম ও রেজাউল করিম-২ আহত হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী জামাল হোসেন বলেন, সদর স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিসেম্বর মাসের রেশনের চাল ও গম নেওয়ার জন্য পাঁচ দিন ধরে খাদ্য অফিসে ঘুরছেন। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে তাদের ঘোরানো হচ্ছে। রোববার বিকেল ৩টার দিকে তিনিসহ কয়েকজন খাদ্য অফিসে গেলে পরের দিন আসতে বলা হয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে খাদ্য দপ্তরের কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এই খবর পেয়ে সদর ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন সেখানে যান। তখন সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ছিলেন না। মো. আলাউদ্দিন সেখানে যাওয়ার পর খাদ্য অফিসের কর্মচারীরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে একজন অফিস সহায়ক তাকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গিয়ে ভাংচুর চালায়।

বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, খাদ্য অফিস থেকে প্রতি মাসে রেশনের চাল ও গম ওজনে কম দেওয়া হয়। গত মাসেও কম দেওয়ায় তাদের কর্মীরা প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এ মাসের চাল ও গম দিতেই দেরি করেন।

এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার খবর পেয়ে তিনি সেখানে গেলে তার ওপরও হামলা হয়। তবে নিজ কর্মীদের বিরুদ্ধে ভাংচুর চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা অবনী মোহন দাস বলেন, সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে কোনো অনিয়ম করা হলে তারা আমাকে জানাতে পারত; কিন্তু তা না করে সরকারি দপ্তরে ভাংচুর ও কর্মচারীদের মারধরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত