ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশ পেটানোর মামলায় ছাত্রলীগের ৯ জন রিমান্ডে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:০৮

পুলিশ পেটানোর মামলায় ছাত্রলীগের ৯ জন রিমান্ডে

পুলিশকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ নয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে এক দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে আসলাম আহসান তুষারের কাছ থেকে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের মামলায় নাজমুল হোসাইন মিরনের সহযোগী সাত জনের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।

এর আগে আসামিদের বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করে মামলা দুইটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি প্রত্যেক আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

শুনানিতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার, শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। শুনানিতে তারা বলেন, পাওনা টাকার বিষয়ে কথা বলার জন্য তারা এক জায়গায় জমা হন। তারা সবাই ছাত্র। পুলিশ তার ক্ষমতাবলে মামলাটি দায়ের করেছে। মূলত, ভুল বোঝাবোঝির কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এখানে রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থণা করেন আইনজীবীরা। তারা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক নয় জনের এক দিনের রিমান্ড ও সাত জনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন বিচারক।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- নজমুলের সহযোগী ওয়াহিদুল ইসলাম, আরিফ, শেখ রহিম, রাসেল, শাহ্ আলম চঞ্চল, আরিফ হোসেন, কাওসার আহমেদ সাইফ ও মোয়াজ্জেম।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- বি এম আসলাম হোসেন তুহিন, মেহেদী হাসান, জুয়েল, শরিফুল ইসলাম, সোহেল তালুকদার, সম্রাট ও সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলায় পুলিশ বাদী হয় এবং অপর মামলার বাদী আসলাম আহসান তুষার।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের জুন মাসে আসামি বি এম আসলাম হোসেন তুহিনের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে আসলাম আহসান তুষার জানতে পারেন তুহিন সরকারি চাকরি দিতে পারেন। পরবর্তীতে চাকরির জন্য গেলে আসামি আট লাখ টাকার বিনিময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক পদে চাকরি দিতে পারবেন। তবে চার লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হবে।বাকি টাকা নিয়োগ পাওয়ার পর দিতে হবে। পরে আলোচনার মাধ্যমে দুই লাখ টাকা করে অগ্রিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১০ জুন থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত চারজন আত্মীর চাকরির জন্য পল্টন থানাধীন ৫৫, পুরানা পল্টন, ফ্ল্যাট নম্বর-২৮/মি বিশ্বাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনালে বসে আসামি মেহেদী হাসানের মাধ্যমে আসামি তুহিন টাকা নেন।

মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, ওই সময় আসামি তুহিন টাকার নিশ্চয়তা হিসেবে বাদীকে স্টান্ডার্ড ব্যাংকের চেক দেন। কিন্তু আসামি বাদীর কোনো আত্মীয়কে চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে দুই লাখ টাকা ফেরত দেন। পরবর্তীতে বাকি টাকা চাইলে মেরে ফেলার এবং চাঁদাবাজির মামলা দেওয়ার হুমকি দেন তুহিন।

মঙ্গলবার বাদী পাওনা টাকার জন্য বিশ্বাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনালে গেলে তাকে মারধর করে আটকে রাখের আসামিরা। বাদী কৌশলে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বাদীকে উদ্ধার করে। ওই সময় আসামিরা পুলিশকে মারধর করে। পরে ঘটনাস্থল থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত