ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘টাকা চাইলেই চলতো বীভৎস যৌনাচার’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০১:৩৯

‘টাকা চাইলেই চলতো বীভৎস যৌনাচার’
ছবি প্রতীকী

আমাদের দেশের অনেকেই বিশাল স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন সুদূর প্রবাসে। আর প্রবাসে গিয়ে অনেকেই পড়ছেন বিপাকে। এইতো কয়েকদিন আগে নিজ পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়া ১০০ জনেরও বেশি শ্রমিক বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন। আর এদের মধ্যে ৮১ জনই নারী শ্রমিক।

বিবিসি বাংলা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৮ সালে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন ১০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক।

এ সপ্তাহে বাংলাদেশে ফেরত আসা কয়েকজন নারী শ্রমিক বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন। এদের মধ্যে আমেনা বেগম (ছদ্ম নাম) অন্যতম একজন। আলাপকালে সৌদি আরবে থাকা নির্মম সেই দিনগুলোর কথা তুলে ধরেন।

সিলেটের মৌলভীবাজারের বাসিন্দা আমেনা বেগম (ছদ্ম নাম) সৌদি আরবের রিয়াদে প্রায় দেড় বছর ছিলেন। যার মধ্যে ৫ মাসই তাকে কাটাতে হয় পুলিশের হেফাজতে।

আমেনা বেগম জানান, যে বাসায় তিনি কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে যৌন প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় তাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বলেন, ‘যৌন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় টানা তিনদিন আমাকে খেতে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে মেরে হাত ভেঙে দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর বাসার সামনে গভীর রাতে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে যায়।’

পরবর্তীতে চিকিৎসা দেওয়ার পর সেখানকার এজেন্টের মাধ্যমে আবারও ওই বাড়িতেই তাকে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী এই নারী।

সেখানে ফিরে যাওয়ার পর আবারো শুরু হয় শারীরিক অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন। একপর্যায়ে ফের বাড়ি থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়। পরে পুলিশের হেফাজতে থেকেই দেশে ফেরার ব্যবস্থা হয় তার।

২৫ বছর বয়সী এই নারী দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব যাওয়ার পর গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। যদিও যাওয়ার আগে তার কাছে গোপন করা হয়েছিল যে গৃহকর্মীর কাজের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আমেনা বেগম জানান, সৌদি আরব যাওয়ার জন্য দালালকে ১ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার সময় ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।

নির্যাতনের শিকার আমেনা বলেন, ‘বাবা-মা সুদে টাকা ধার নিয়ে আমাকে সৌদি পাঠিয়েছিল। সেখানে সব নির্যাতন, অত্যাচার সহ্য করেও কাজ করতাম টাকার জন্য। কিন্তু টাকা চাইলেই আমার ওপর চলতো বীভৎস যৌনাচার, নির্যাতন। একবছর কাজ করলেও শেষপর্যন্ত দুইমাসের আংশিক বেতন দেওয়া হয় আমাকে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত