ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

মার্চে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২০

মার্চে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু

আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এ নৌযান চলাচল উদ্বোধন করবেন। প্রথমে সুন্দরবন এলাকাসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে এ রিভার ক্রুজ চলাচল করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এর আগে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন।

সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক শেষে টিপু মুনশি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে একসাথে কাজ করতে আমরা একমত। এতে করে উভয় দেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে তিনটিতে ভারত বড় ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মোংলায় ১১০ একর জমির ওপর স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কাজ অল্প দিনের মধ্যেই শুরু হবে। মীরসরাইয়ে এক হাজার একর জমির ওপর ও ভেড়ামারায় অপর একটি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ভারত।

এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, পঞ্চগড়ের চিলাহাটি সীমান্তে একটি স্থলবন্দর নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে। চলমান বর্ডারহাটের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আমরা উভয় দেশ একমত হয়েছি। চলমান বর্ডার হাটের পাশাপাশি আরো ছয়টি বর্ডারহাট চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী মার্চে উভয় দেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। এতে উভয় দেশের পর্যটকরা নৌপথে ভ্রমণ শুরু করবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান দূর করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উভয় দেশের বর্তমান বাণিজ্য ৯ হাজার ৪৯২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৮৭৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ১৫টি ভিসা ইস্যু সেন্টার চালু করেছে। চলমান বর্ডার হাটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এ সময় বাণিজ্যসচিব মো. মফিজুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত