ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনা

তদন্ত কমিটির সংবাদ সম্মেলন বিকেলে

তদন্ত কমিটির সংবাদ সম্মেলন বিকেলে

নেপালে ইউএস-বাংলার বিমানের দুর্ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে দুর্ঘটনার ওপর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশের (এএআইজি-বিডি) প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহ্উদ্দিন এম রহমতউল্লাহ।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

নেপালের কাঠমান্ডু পোস্টসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির উদ্ধৃত করে প্রতিবেদন করেছে। সেখানে পাইলট স্বাভাবিক অস্বাভাবিক আচারণসহ বারবার ধূমপান করছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সালাহ্উদ্দিন এম রহমতউল্লাহ বলেন, ‘আমরা নেপালের গণমাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে রিপোর্টটি দেখেছি। তবে এখন কিছু বলবো না, আমরা বিকেলে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবো।'

তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের অবস্থান জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মহা-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রিপোর্টগুলো আমরা দেখছি। পরবর্তীতে আমাদের ব্যাখ্যা জানাবো।’

এদিকে রোববার নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই দুর্ঘটনা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এতে বলা হয়েছে, ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইন্স কোম্পানির নিয়ম হচ্ছে আন্তর্জাতিক বা অভ্যন্তরীণ কোনো ফ্লাইটেই ধূমপান করা যাবে না। কিন্তু ওই নিয়ম অগ্রাহ্য করে ককপিটে বসেই ধূমপান করছিলেন পাইলট। আর এই কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি।

এর আগেও ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি পাইলটের আচরণকে দায়ী করা হয়েছিলো নেপালের ফাঁস হওয়া এক সরকারি তদন্তের খসড়া রিপোর্টে। নেপালের প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট এবং বার্তা সংস্থা এএএফপি এই খসড়া রিপোর্টের বিস্তারিত প্রকাশ করেছিলো।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিলো, ইউএস-বাংলার ঐ ফ্লাইটের পাইলট সেদিন ‘বেশ আবেগতাড়িত ও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন এবং কাঁদছিলেন।’ তিনি সেদিন বিমানের ককপিটে দায়িত্বরত অবস্থায় ধূমপান করছিলেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

তবে তখন ওই প্রতিবেদনকে 'ভিত্তিহীন' বলে উল্লেখ করেছিলেন কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ- এর প্রধান সালাউদ্দিন এম রহমতউল্লাহ।

উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান ছিলেন সেদিনের ওই ফ্লাইটের পাইলটের দায়িত্বে। তার সঙ্গে কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন প্রিথুলা রশিদ। দুর্ঘটনায় তারা দুজনসহ বিমানের মোট ৫১ জন যাত্রী এবং ক্রু নিহত হন। ২০ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও তাদের অনেকের আঘাত ছিল গুরুতর।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা তদন্তে নেপাল সরকার ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বাংলাদেশ থেকেও তদন্তে যুক্ত হয় ৬ সদস্যের একটি দল।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত