অবহেলিত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে চান ঠাকুরগাঁওয়ের রিপা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩৯
স্বাধীনতার পর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা হরিপুর থেকে কেউ জাতীয় সংসদে অবহেলিত মানুষের পক্ষে কোনো কথা বলতে পারেননি। এই অবহেলিত অঞ্চলের মানুষ জীবন যুদ্ধের সাথে লড়াই করে বেচেঁ থাকে। পেশা হিসেবে একমাত্র উপার্জন হচ্ছে কৃষি।
এই উপজেলায় কোনো প্রকার শিল্পকারখানা গড়ে না হওয়ায় কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ফলে এই এলাকার মানুষের মধ্যে শিার হার খুবই কম। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর অবহেলিত এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে গেছে। বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ, স্কুল-কলেজে নতুন ভবন, রাস্তাঘাট পাকা করণ, তথ্য প্রযুক্তি হাতের নাগালে পৌছে দিয়েছে সরকার। মানুষ এখন প্রতি নিয়ত স্বপ্ন বুণে কোন কিছু করার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন নারী নেত্রী সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন রিপা।
সীমান্তবর্তী নারী জাগরণের নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন রিপা উন্নয়নের একটি নাম খুব অল্পসময়ে লাখ লাখ মানুষের মনকে জয় করেছেন রিপা। যে মানুষটির সঙ্গে মিশতে কথা বলতে সাচ্ছন্দ বোধ করে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলাসহ সকল শ্রেণির মানুষ।
এবার সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে সাবিনা ইয়াসমিন রিপাকে দেখতে চাইছেন এলাকাবাসী। নেত্রী হিসাবে তিনি রাজনীতির মাঠে ঘুরে বেড়িয়েছেন মাটি ও মানুষের সান্নিধ্যে। ঘুরে ঘুরে জানতে চেয়েছেন কেমন আছেন এলাকার মানুষ। রিপা একজন হাস্যজ্জল, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ বলে অভিমত হরিপুর উপজেলার আপামর সাধারণ মানুষের।
সাবিনা ইয়াসমিন রিপা প্রসঙ্গে এক আদিবাসী নারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও নারীদের নিয়ে ভাবার মতো কোন নেতা থাকলে তিনিই আছেন। তিনি শুধু আদিবাসীদের নিয়ে নয় সর্বস্তরের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তার জন্য সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছেন। বাল্যবিবাহ, নারী শিাসহ নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন প্রদান, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সোলার প্যানেলসহ অসংখ্য কাজ করেছেন। কাজ করছেন হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্যও। তাকে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে সীমান্তবর্তী এলাকা মানুষেরা দেখতে চাই। অনেক সীমাবদ্ধতার পরেও যাতে তিনি আমাদের নিয়ে নির্বিঘ্নে কাজ করে যেতে পারেন সেই আশা আমাদের।
সীমান্তবর্তী উপজেলা হরিপুরের নারী নেত্রী সাবিনা ইয়াসিমন রিপা বলেন, ‘অবহেলিত মানুষ, অবহেলিত জনপদ আর দুর্গম এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। সকলে মিলে যদি হরিপুরসহ সীমান্তবর্তী জনপদের জন্য কাজ করি তাহলে স্বপ্নের ঠাকুরগাঁও জেলাকে গড়ে তোলা সম্ভব।’ তিনি আরো বলেন, ‘হরিপুরসহ পুরো জেলার উন্নয়নে কাজ করতে আপনাদের সবাইকে পাশে চাই। এলাকায় কী করা প্রয়োজন তার পরামর্শ দিয়ে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, এই হরিপুর উপজেলা এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে চাই।’
রিপা বলেন, ‘বিত্তশালী মানুষের জন্য কিছু করার প্রয়োজন নেই। তারা নিজেদের কাজ নিজেরা আদায় করে নিতে পারেন। আমি কাজ করতে চাই যারা অসহায়, গরিব তাদের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। সেটার বাস্তবায়ন ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে শুরু করা যায় তাই সব শ্রেণি পেশার মানুষের ভালবাসা দরকার। তাহলে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় আমার, আপনাদের কথা শুনবেন।
২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রূপান্তর করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহবান জানান রিপা।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সাবিনা ইয়াসিমন রিপা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাকে নারী এমপি হিসেবে মনোনীত করলে তিনি এলাকার উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নারী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নেবেন।
আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্ম সাবিনা ইয়াসমিন রিপার। ১৯৯৭ সালে ছাত্রলীগের রাজনৈতির সাথে যুক্ত হোন তিনি। ছাত্রলীগের রাজনীতির পর ২০০৩ সালে ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা শাখার যুবলীগের মহিলা সম্পাদিকা পদে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে হরিপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন রিপা। হরিপুরসহ ঠাকুরগাঁও জেলায় বিভিন্ন সামাজিক অঙ্গসংগঠনের সাথে রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন রিপা।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে