ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

যে কারণে নারী এমপির তালিকা থেকে বাদ পড়লেন লিপি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫০  
আপডেট :
 ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৯

যে কারণে নারী এমপির তালিকা থেকে বাদ পড়লেন লিপি

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া শিরিনা নাহার লিপি মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জানান, সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা থেকে শিরিনা নাহার লিপিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, শিরিনা নাহার লিপির পরিবর্তে টাঙ্গাইল থেকে মমতা হেনা লাভলীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

খুলনা থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পান শিরিনা নাহার লিপি। কেউ কেউ বলছেন স্বামী বিএনপি করলেও লিপি আওয়ামী লীগের কর্মী। শিরিনা নাহার লিপির মনোনয়ন প্রাপ্তির খবরে অনেকে প্রশ্ন তোলেন, খুলনাতে হাজার হাজার নারী নেত্রী থাকতে এমন বিতর্কিত কাউকে নমিনেশন দিতে হবে কেন? বিষয়টি নিশ্চয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জানেন না। তার মনোনয়ন বাতিল করারও দাবি করেন অনেকে।

খুলনার স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচাতে যার স্বামী আদালতে আইনি লড়াই করেছেন, আর তার বউ যদি আওয়ামী লীগের এমপি হন, এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছুই হতে পারে না। তৃণমূলের অনেক ত্যাগী নেতা এখন চরম হতাশ। লিপিকে এমপি বানাতে যারা তদবির করেছেন, সুপারিশ করেছেন, সুষ্টু তদন্ত করে তাদেরও বহিষ্কার করার জোর দাবি জানান তৃণমূলের অনেক ত্যাগী নেতা।

সূত্রে জানা গেছে, শিরিনা নাহার লিপির স্বামী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার আইনজীবী ছিলেন। সজল তার নিজের ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়াকে মা সম্বোধন করেছেন। তাই তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় খুলনার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাই বিতর্কের উর্ধ্বে ওঠে দল শেষ পর্যন্ত কর্মীদের আবেগের মূল্য দিয়েই শেখ হাসিনা তাকে বাদ দেন।

গত শুক্রবার একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ৪১ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। পরে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় আরো দুইজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এবার সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন ১৫১০ জন। গত ১৫ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ফরম বিক্রি করে দলটি। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে মহিলা আসন বণ্টন করা হয়। প্রতি ৬টি আসনের বিপরীতে যে কোনো দল বা জোট ১টি সংরক্ষিত আসন পেয়ে থাকে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার ৫০টি সংরক্ষিত আসন বণ্টন করা হবে। ইসি সচিব এ বিষয়ে জানিয়েছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ ৪১ জনের নাম ঘোষণা করেন। জাতীয় পার্টি ৪টি, বিএনপি ১টি, অন্যান্য দল ১টি (ওয়ার্কার্স পার্টি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১টি সংরক্ষিত আসন পাবেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত