হোগলার বেড়া তৈরি করে চলে সিরাজুলের সংসার
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:০৮ আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১০
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে রয়েছে দাসেরডাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ঘর। সেখানে প্রতিদিন বিভিন্নস্থান থেকে আসছেন লোকজন হোগলার বেড়া তৈরি করাতে বা নিতে। প্রায় ৩০ বছর যাবৎ হোগলা দিয়ে বেড়া তৈরি করেই সংসার চালান তিনি।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে হোগলার আবাদ হয়না। আমাদের বরিশাল থেকে এ হোগলা কিনে আনতে হয়। প্রতি আটি হোগলা কেনা হয় ২০০ টাকা করে। হাত হিসাবে হোগলার বেড়া তৈরি করা হয়। প্রতিহাত হোগলার বেড়া ১৬০ টাকা করে তৈরি করা হয়ে থাকে।
প্রতিদিন এই বেড়া তৈরি করে তিনি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্তু আয় করে থাকেন।
তিনি বলেন, তল্লাবাঁশ (চিকন এক প্রকার বাঁশ) দিয়ে চিকন করে কেটে চটা তৈরি করে তার উপর সারি দিয়ে বেঁধে তৈরি করা হয় এ বেড়া।
অনেক সময় লেগে যাওয়ায় দিনে ৮ থেকে ১০ হাত বেড়া তৈরি করা যায় বলেও জানান এই কারিগর।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেকে টিনের ঘরের ওপরের সিলিং দেয়ার জন্যও ব্যবহার করে থাকেন। হোগলার বেড়ায় কোন ক্ষতি হয়না বলেও জানান তিনি।
উপজেলার রায়গা-কলাগাছি গ্রামের অমিত বিশ্বাস বলেন, হোগলার বেড়া একবার দিলে অনেক বছর থাকে এতে পোকা ধরে নষ্ট হয়না। তাই আমার ঘরের জন্য হোগলার বেড়া তৈরির অর্ডার দিতে আসছি।
সদর উপজেলার পাইকমারি গ্রামের জালাল মিয়া বলেন, এক সময় আমাদের আশেপাশের অনেক বাড়িতে হোগলার বেড়া ছিল বর্তমানে তেমন একট চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই