ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভুয়া ব্যারিস্টার মওদুদকে খুঁজছে ডিবি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:১০  
আপডেট :
 ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:২২

ভুয়া ব্যারিস্টার মওদুদকে খুঁজছে ডিবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে মো. শাকিল আহমেদ (২৫) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমোনিয়া গ্রামে।

এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী। শাকিলকে গ্রেপ্তারের অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)।

মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিবি পুলিশের (উত্তর) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন বলেন, ‘আমরা প্রতারক শাকিলকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সদ্য এলএলবি পাস করা এক তরুণীকে ফ্রেন্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠানো হয়। ফেসবুক চ্যাটে মওদুদের নামধারী আইডিতে অনিয়মিত কথা হয়। যা শুরু হয় প্রায় এক বছর আগে। এরই মধ্যে তরুণীকে একটি বিদেশি কোম্পানিতে ল’ অফিসার হিসেবে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। ব্যারিস্টার মওদুদের মতো আইনজীবীর কাছ থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়ে দেখা করতে চান তরুণী। তখন মওদুদ নামধারী প্রতারক তার সহকারী পরিচয়ে শাকিল নামে একজনের সঙ্গে তরুণীকে দেখা করতে বলে। যদিও পরবর্তীতে জানা গেছে, মওদুদ আহমেদ নামে ফেসবুক আইডি পরিচালনা করা ব্যক্তি ও তার সহকারী হিসেবে দেখা করতে বলা শাকিল একই ব্যক্তি। এক নামে দুটি ভূমিকায় তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করছিল সে।

তদন্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট শাকিল ওই তরুণীর সঙ্গে পলওয়েল মার্কেটের সামনে দেখা করেন। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে কথাবার্তা চলতে থাকে ও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একপর্যায়ে শাকিল ভুক্তভোগী তরুণীকে জানায়, একটি বিদেশি কোম্পানির ল’ অফিসারের পদে চাকরির জন্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ স্যার এক লাখ টাকা চেয়েছেন। টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত হবে। এক লাখ টাকা দিতে না পারলেও শাকিলকে ৬০ হাজার টাকা দেন তরুণী। এভাবে কয়েক ধাপে দুই লাখ ১৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় শাকিল।

তরুণী জানান, টাকা নেওয়ার পরও চাকরি দিতে না পারায় তিনি শাকিলকে চাপ দেন। এক পর্যায়ে শাকিল তরুণীর কিছু ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে তরুণীর নামেই অন্য আরেকটি ফেক আইডি খুলে। এই আইডিতে তরুণীর কিছু ব্যক্তিগত ছবি আপলোড করে আরও টাকা দাবি করে। একইসঙ্গে এই ছবিগুলো তরুণীর পরিচিতদের কাছে পাঠাতে শুরু করে শাকিল। পরবর্তীতে অন্যান্য পরিচিতদের কাছে পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয়।

টাকা নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি একজন সিনিয়র আইনজীবীকে জানানো হলে ফেসবুক আইডিটি যে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মওদুদ আহমেদ চালাচ্ছেন না তা নিশ্চিত হন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর শাকিলকে অভিযুক্ত করে পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও পরবর্তীতে মামলা দায়ের করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত