ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারি স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫০

সরকারি স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে খাস জমিতে সরকারি স্থাপনা অবৈধভাবে রাতের আধারে ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়ার পোড়াদহ কাপড়ের হাটে নির্মিত ৪০টি ওজুখানা ও শৌচাগার রাতের অন্ধকারে বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে কয়েকজন প্রভাবশালী।

জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুরের পোড়াদহ কাপড়ের হাটে আগত হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন ও পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান মজনু বিপুল অর্থ খরচ করে ৪০টি ওজুখানা ও শৌচাগার নির্মাণ করেন। কিন্তু গত সোমবার দখলবাজদের খামখেয়ালিপনায় অবৈধভাবে গুড়িয়ে দেয়া হয় সমস্ত টয়লেট ও অজুখানা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাটে আসা মানুষদের জন্য সরকারি জমিতে উপজেলা পরিষদ সরকারি শৌচাগার ও অজুখানা নির্মাণ করে। সাম্প্রতি পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামানের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী ও রহিমা প্লাজার মালিক ফজলুর রহমান মনি খাঁ একটি মার্কেট তৈরি করে। তাদের মার্কেটের সামনে সরকারি শৌচাগার থাকায় তাদের নিজ মার্কেটকে ফোকাসে আনতে আর হাটের সম্পত্তি দখলের স্বার্থেই রাতের আধারে এগুলো ভেঙ্গে দিয়েছে তারা।

সম্প্রতি এমন ঘটনায় গোটা পোড়াদহ এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভের।

এ বিষয়ে পোড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে সরকারি এই স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে দেওয়ার কারণে আমরা কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান মজনু জানান, আঞ্জু মনোয়ারা প্লাজার মালিক ফারজানা চৌধুরী পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফাকুকুজ্জামান জনের স্ত্রী। জনের নেতৃত্বেই মূলত এই স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়। বিষয়টি পরিকল্পিত।

মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, কাপড়ের হাটে আগত মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তু করে ৪০টি শৌচাগার ও ওজুখানা নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু জাসদের প্রভাবশালী নেতা ফারুকুজ্জামান জন ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতেই রাতের অন্ধকারে বুলডোজার চালিয়ে স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেয়।

এমন অপকর্মে ফুঁঁসে উঠেছে এলাকাবাসী, সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা ও মুসল্লিরা। দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবিসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত