ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফেঁসে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা

  রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৪  
আপডেট :
 ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩০

ফেঁসে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পশ্চিম চরগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিপ্রা রানী দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম ও অশালীন আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য গোলাম সারওয়ার এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষিকা শিপ্রা রানী দাসের বাড়ি রামগতিতে হলেও তিনি নোয়াখালী জেলায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। বাসা থেকে স্কুলের দুরত্ব প্রায় ৫০ কি.মি.। ফলে এত দূর থেকে এসে তিনি নিয়মিত স্কুলে ক্লাস করাতে পারেন না। টানা এক কয়েকদিন স্কুলে অনুপস্থিত থেকে এক দিন এসে সবদিনের হাজিরায় সই করেন। কোনোদিন বেলা ১২টায় এসে আবার বিকেল ৩টায় চলে যান।

বিদ্যালয়টি পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও প্রধান শিক্ষিকার অবহেলায় লেখাপড়ার মান অত্যন্ত নিম্ন। প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি, সেশন ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, ফরম ফিলাপ, কোচিং ফিসহ নামে বেনামে বিভিন্ন খাতের অজুহাত দেখিয়ে প্রায় ৭শ’ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে নেয়ার বিষয়টি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান শিক্ষিকা ওই টাকা খরচের ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে রয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে তাদের সাথে তালবাহানাসহ অশালীন আচরণ করেন। স্কুলের অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরা টাকাসহ অনিয়মের বিষয় প্রতিবাদ করলে তিনি তাদেরকে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেন।

প্রধান শিক্ষিকা শিপ্রা রানী দাসের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও অশালীন আচরণের কারণে বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা অচলের পথে প্রধান শিক্ষিকার একগুয়েমির কারণে ছাত্রছাত্রীদের ফলাফল হতাশাজনক।

এসব বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা শিপ্রা রানী দাসের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে রামগতি উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. হুমায়ুন কবির জানান, শিপ্রা রানী দাসের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিবেদনটি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত