ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিয়োগ ও এমপিওভুক্তিতে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

  শওকত জামান

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২২

নিয়োগ ও এমপিওভুক্তিতে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, ডিজি প্রতিনিধিসহ নিয়োগ কমিটির সকল সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে প্রভাষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। নিয়োগকৃত প্রভাষক একদিনও পাঠদান না করিয়ে জাল স্বাক্ষরেই এমপিওভুক্তও হয়েছেন। স্বাক্ষর জালে প্রভাষক নিয়েগের ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর সদর উপজেলার তুলশীপুর ডিগ্রি কলেজে। এই নিয়ে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার তুলশীপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জাহাঙ্গীর আলম মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দ, ডিজি প্রতিনিধিসহ নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশনসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র তৈরি করে নাহিন রাউফুন্নাহার সিদ্দিকাকে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ (মার্কেটিং) বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগ করেন। ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর নিয়োগ পেলেও একদিনও পা পড়েনি কলেজ ক্যাম্পাসে।

নিয়োগের বিষয়টি কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানে না। এমন কি ওই শিক্ষককে তারা চেনেও না বলে জানিয়েছেন কলেজটির হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক ফজলুল হক। শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও কর্মদক্ষতা কাগজে কলমে দেখিয়ে অতি গোপনে ফের জাল স্বাক্ষরে এমপিওভুক্ত হন।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে মাসিক বিলে স্বাক্ষর করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিজন কুমার চন্দের। বেতন-বিলে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষকের নাম দেখে আশ্চর্য হয়ে যান তিনি।

পরে অধ্যক্ষ এসএম জাহাঙ্গীর আলমকে ডেকে প্রভাষক নাহিন রাউফুন্নাহার সিদ্দিকাকে কবে, কিভাবে নিয়োগ দিয়েছে জানতে চান। এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় শিক্ষক কর্মচারীদের জানুয়ারি-২০১৯ মাসের বেতন-বিল বিবরণীতে তিনি স্বাক্ষর করেননি। এতে ঐ কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন স্থগিত রয়েছে।

পরে তিনি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে নিয়োগের কাগজপত্রে তারসহ কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও নিয়োগ কমিটির সকল সদস্যদের জাল স্বাক্ষর দেখতে পান। বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়লে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক নাহিন রাউফুন্নাহার সিদ্দিকার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মোবাইল ফোন রিসিভি না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তুলশীপুর ডিগ্রি কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ এসএম জাহাঙ্গীর বলেন হয়তো নিয়োগ কমিটির সভাপতি নিয়োগে স্বাক্ষর দিয়েছেন। তার হয়তো মনে নেই। তাকে অবহিত করেই নিয়োগের সকল কার্য সম্পন্ন হয়েছে। প্রভাষক নাহিন রাউফুন্নাহার কলেজ কম হাজিরা হওয়ায় দু’একজন হয়তো চেনেন না।

এ ব্যাপারে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিজন কুমার চন্দ বলেছেন, মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ ওই প্রভাষককে নিয়োগ দিয়েছেন। বেতন বিলে স্বাক্ষর করতে গিয়ে বিষয়টি আমার নজরে আসে। তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

এসজে/ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত