ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সেন্টমার্টিনে ২ হাজার পর্যটক আটকা

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০১৯, ১৬:৪৮  
আপডেট :
 ০৬ মার্চ ২০১৯, ১৬:৫২

সেন্টমার্টিনে ২ হাজার পর্যটক আটকা

বৈরী আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুই হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ ছেড়ে না যাওয়ায় আটকপড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। তবে আটকাপড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

জেলার টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান জানান, দুই হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আটকা পড়াসহ অন্তত ৩ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যায়। এ সময় প্রায় ২ হাজার পর্যটক দ্বীপে রাত্রিযাপনের জন্য থেকে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, মৌসুমি বায়ুতে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। বজ্রমেঘের ঘনঘটার কারণে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতসহ গুঁড়িগুঁড়ি ও মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে কক্সবাজারসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকায় চলাচলকারী মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সেন্টমার্টিনে অবস্থানকারী পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় সেজন্য আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর আহমদ।

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক শাহ আলম জানান, মঙ্গলবার টেকনাফ থেকে চারটি জাহাজে করে প্রায় তিন হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। সেখান থেকে অর্ধেকের বেশি পর্যটক টেকনাফ চলে আসে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে বুধবার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে কোনো জাহাজ না যাওয়ায় অনেক পর্যটক ফিরতে পারেননি। সংকেত কেটে গেলে টেকনাফ থেকে জাহাজ গিয়ে তাঁদের ফেরত আনা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সতর্কসংকেত অমান্য করে পর্যটক পরিবহন করলে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এ নৌপথে জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, দ্য আটলান্টিক ক্রুজ ও এলসিটি কাজল চলাচল করছে। রুট পারমিট না থাকায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রীন লাইন-১ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এমভি ফারহান ক্রুজের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় বে-ক্রুজ নামে আরও একটি জাহাজ বন্ধ রয়েছে।

সি ফাইন রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী আবদুর রহিম বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়ার সতর্কবার্তার কারণে সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ নৌপথে পর্যটক জাহাজ ও সার্ভিস ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিনে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল-কটেজে প্রায় তিন হাজারের মতো শিশু, নারী ও পুরুষ আটকা পড়েছেন। সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সেকান্দর আলী বলেন, আটকে পড়া পর্যটকেরা দ্বীপের ১০৬টি হোটেল-মোটেল ও কটেজে অবস্থান করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত