ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

গত ১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো না: প্রধানমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০১৯, ১৯:৪২  
আপডেট :
 ১৬ মার্চ ২০১৯, ১৯:৪৬

‘গত ১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো না’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১০ বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার গণভবনে ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। গুলি-বোমা ছিল প্রতিদিনকার ব্যাপার। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে এক দলের নেতাকর্মীরা অন্য দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করত। আমরা ক্ষমতায় এসে চিন্তা করলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অস্ত্রের প্রতিযোগিতা কেন থাকবে?

তিনি আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো লেখাপড়ার জায়গা। ২০০৮ থেকে ২০১৮ এই দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমল থেকে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল। ডাকসু নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জ ছিলো আমাদের জন্য। আমরা সেটা করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দিতে ছাত্রদলই যথেষ্ট। আমি ছাত্রলীগের হাতে কলম তুলে দিয়ে জবাব দিয়েছিলাম, অসির থেকে মসীর জোর বেশি। সেটাই আমাদের প্রমাণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলন করছে, যুক্তি দিয়ে আন্দোলনের বিষয়টি বলতে হবে। কিন্তু ভিসির বাড়িতে আক্রমণ। তার বেডরুম পর্যন্ত ঢুকে যাওয়া, ভিসির গাড়িতে আগুন নেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সময়েও ভিসির বাড়ির সামনে অবস্থান-ধর্মঘট করা হতো। খুব বেশি কিছু হলে ভিসির বাড়ির ফুলের টবই ভাঙা।

সেসময় ছাত্রী হলগুলোতে অস্থিতিশীলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে ঘুমোতে পারিনি। যখন জেনেছি ছাত্রীরা নিরাপদে হলে ফিরে গেছে, তখন বিশ্রামে গিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব খুঁজি। আর ছাত্রজীবন থেকেই তা গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য স্কুল পর্যায়ে ক্যাবিনেট চালু হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগে রাজনীতির পরিবেশ এতো সুষ্ঠু ছিল না, এখন সুন্দর পরিবেশ ফিরে এসেছে। নেতৃত্ব তুলে আনতে এই ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত