ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রেমিকের বাড়িতে একসঙ্গে দুই প্রেমিকা, অতঃপর...

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৯, ১৫:০৬  
আপডেট :
 ২০ মার্চ ২০১৯, ১৫:১২

প্রেমিকের বাড়িতে একসঙ্গে দুই প্রেমিকা, অতঃপর...
প্রেমিক সাব্বির

এ যেন বলিউডের মশলা মুভির বাস্তব চিত্রায়ন। এক যুবক একসঙ্গে দুই কিশোরীর সঙ্গে প্রেম করছিলেন। কিন্তু গত রোববার দুই প্রেমিকাই তার বাড়িতে এসে অবস্থান নিলে পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বরং পুরো ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এলাকায় তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে ঠাট্টা বিদ্রুপ।

আর দুই প্রেমিকা বাড়িতে এসে উপস্থিত হওয়ায় বেরসিক পুলিশ তাকে আটক করে জেল হাজতে নিয়ে গেছে।

এ ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামে। ওই গ্রামেরই যুবক সাব্বির হোসেন (২০)। সে একসঙ্গে দুই কিশোরীর সঙ্গে মনের সুখে প্রেম করছিল।

সাব্বির হোসেন মুন্সিগঞ্জ জেলার পলিটেকনিক কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পুলিশ ও এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, মোবাইলে প্রতারনার ফাঁদ পেতে সে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল।

একপর্যায়ে প্রেমিক সাব্বিরের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মির্জাপুর উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ও টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী) ছাত্রী এবং একই ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামের কুরনী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের (চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী) এক ছাত্রী।

গত শনিবার মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ইচাইল গ্রামের ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে নিয়ে আসে সাব্বির। এই ঘটনা দাসপাড়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও সাব্বিরের আরেক প্রেমিকা জানতে পেরে সাব্বিরের বাড়িতে বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকায় হৈচৈ পড়ে যায় এবং শতশত লোক ঐ ঘটনা দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করে।

এদিকে ইচাইল গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর মা রোজিনা বেগম প্রেমিক সাব্বিরকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে রোববার রাতে মির্জাপুর থানা পুলিশ বাইমাইল গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রতারক প্রেমিক সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে। তার দুই প্রেমিকাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।

পরে প্রেমিকার মায়ের দায়ের করা অপহরণ ও যৌন নির্যাতনের মামলায় আটকের পর সোমবার প্রতারক প্রেমিক সাব্বিরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এরপর মুচলেকা নিয়ে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে তার অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

অন্যদিকে আরেক প্রেমিকা ও স্কুলছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় ডাক্তারি পরীক্ষার পর সোমবার তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

টনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, প্রতারক সাব্বিরকে গ্রেপ্তারের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে মুচলেকা নিয়ে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

স্কুলছাত্রীর মা রোজিনা বেগম যৌন নির্যাতন ও অপহরণের মামলা করায় তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত