ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

চুক্তি নয়, রাজধানীর সব বাস চলবে টিকিটে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৯, ১৬:৩০

চুক্তি নয়, রাজধানীর সব বাস চলবে টিকিটে

সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে আগামী মাস থেকেই চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থার পরিবর্তে সব গাড়ি টিকিট সিস্টেমে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ও সচেতনতা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার এনায়েত হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ চালকদের নেশা ও চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো। তাই এ দু’টি পথই বন্ধ করতে হবে। সামনের মাস থেকেই সব গাড়ি টিকিট সিস্টেমে চলবে। এই সময়ের মধ্যেই বাস মালিকদের টিকেট সিস্টেমে বাস চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

নেশাগ্রস্ত চালকদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মহাসচিব বলেন, চাইলে নেশাগ্রস্ত চালকদের ধরতে যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করান। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

রাজধানীতে সব গাড়ি টিকিট সিস্টেমে চালানোর প্রসঙ্গ টেনে এনায়েত হোসেন বলেন, ঢাকা মহানগরীতে সব বাস টিকিট সিস্টেমেই চলত। বিএনপির আমলে সাদেক হোসেন খোকা একরাতের মধ্যে বাসের টিকিট কাউন্টারগুলো তুলে দিয়েছিলেন। এরপর রাস্তার পাশে ছাতার নিচে বসেই কাউন্টার তৈরি করে টিকেট বিক্রি চলছিল। ছিনতাইকারীরা টাকা লুট করতে শুরু করল। ফলে বাধ্য হয়ে এক সময় চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো শুরু হলো। সেই সিস্টেমই এখনও চলছে।

তিনি বলেন, প্রথমে হয়তো আমরা কাউন্টার পাব না। সেক্ষেত্রে রাস্তার পাশে ছাতার নিচে টিকিট বিক্রি করব। এরপর আমরা ধীরে ধীরে আবার কাউন্টারে ফিরে যাব। আমরা টিকিট সিস্টেমে আবার ফিরে আসব। আমরা চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালাব না। এটি বন্ধ হলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। কারণ তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। চুক্তিভিত্তিক চালানোর ব্যবস্থা না থাকলে কেউ পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালাবেন না।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সড়ক ফেডারেশনের মহাসচিব ওসমান আলী বলেন, ৪০ লাখ গাড়ি রয়েছে সারাদেশে। এর বিপরীতে লাইসেন্সধারী চালক আছেন মাত্র ২৩ লাখ। তাহলে বাকি গাড়িগুলো কিভাবে চলে? এ বিষয়ে বিআরটিএ’কে উদ্যোগী হতে হবে। চালকরা যেন দ্রুত লাইসেন্স পান। রাস্তা থেকে নসিমন-করিমন-ভটভটি-অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে। মাঝে মধ্যে পুলিশ এসব বন্ধ করার উদ্যেগ নিলেও জনপ্রতিনিধিরা হস্তক্ষেপ করেন। ফলে এসব পরিবহন আবার চলে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগী হয়ে এসব জনপ্রতিনিধিদের কঠোরভাবে বলতে হবে, যেন তারা এসব ফিরিয়ে আনতে হস্তক্ষেপ না করেন।

ওসমান আলী কুড়িল থেকে মালিবাগ পর্যন্ত সড়কে রিকশা একলাইনে আনার অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল। সেটি এখনও করা হয়নি। টিভি ও পত্রিকায় শত শত বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। অথচ ট্রাফিক আইন নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয় না।

মহাসড়কগুলোতে রাস্তায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে গাড়ি রিকুইজিশনের ব্যবস্থারও প্রতিবাদ জানান সড়ক ফেডারেশনের মহাসচিব। এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলতে ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত