ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুবলীগ নেতা বিথার হত্যা মামলার চার্জগঠন

  খুলনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৯, ১৮:০৮

যুবলীগ নেতা বিথার হত্যা মামলার চার্জগঠন

যুবলীগের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর চাঞ্চল্যকর শহীদ ইকবাল বিথার হত্যা মামলার চার্জ গঠন করেছেন খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সরদার আনিসুর রহমান পপলুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৮ বছর পর এ চার্জগঠন করা হলো।

মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন জীবন ওরফে শবে কাদির, লিয়াকত আলী শিকদার, মনিরুজ্জামান মাসুদ ওরফে তোতা মাসুদ, একরাম হোসেন ওরফে সিয়াম ওরফে আকাশ এবং সুমন হোসেন ওরফে রাজু।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১১ জুলাই রাতে মহানগরীর মুসলমানপাড়ার মেট্রোপলিটন ক্লিনিকের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শহীদ ইকবাল বিথার। এ ঘটনায় তার শ্যালক রফিউদ্দিন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ১২ জুলাই সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি প্রথমে খুলনা সদর থানা পুলিশ এরপর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করে। একপর্যায়ে মামলাটি ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ সেলে পাঠানো হয়।

হত্যাকাণ্ডের ৪ বছর ৩ মাস পর ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম মেজবাহ হোসেন বুরুজ (মৃত), মহানগর যুবলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলুসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

তবে ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান মিজান। ওই বছরের ১ আগস্ট সিআইডির সম্পূরক চার্জশিটে মিজান ও যুবলীগ নেতা বুরুজের নাম বাদ দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদি। আদালত এই আদেশ খারিজ করে দিলে বাদিপক্ষ উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। সেই থেকে বার বার চার্জগঠনের দিন পরিবর্তন হচ্ছিলো।

খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী সাব্বির আহমেদ বলেন, গত সপ্তাহে বাদিপক্ষ উচ্চ আদালতে তাদের রিভিউ আবেদন তুলে নেয়ার কথা জানান। বৃহস্পতিবার আসামি আনিসুর রহমান পপলুর পক্ষে চার্জগঠন থেকে নাম বাদ দেয়ার আবেদন করেন তার আইনজীবী। দীর্ঘ শুনানি শেষ আদালত আসামির আবেদন নাকচ করে দেন এবং জীবিত ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তিনি জানান, সর্বশেষ চার্জশিটে এই মামলার আসামি ছিলো ৭ জন। এর মধ্যে মাসুদ রানা নামের একজনকে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাকি ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত