ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে মার্কেট নির্মাণ

  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৯, ১৯:৪৫

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে মার্কেট নির্মাণ

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে মার্কেটের নির্মাণ কাজ। বিতর্কিত ওই ৩২ শতাংশ জমির মালিকানার দাবিদার স্থানীয় জনৈক নুরনবী মিয়া গং এমন ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভাড়াটিয়া লোকের সহযোগিতায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ রক্ষার্থে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে হতাশ হয়েছেন বলে অভিযোগ মালিকানার অপর দাবিদার লক্ষ্মীপুর ট্রাকচালক সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডের পাশে বাঞ্চানগর মৌজায় নির্মাণ কাজের স্থানে ৩২ শতক জমি নিয়ে লক্ষ্মীপুর ট্রাক চালক সমবায় সমিতির সাথে দীর্ঘদিন ধরে মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে স্থানীয় নুরনবী মিয়াদের। মালিকানার দাবিতে উভয়পক্ষে বিভিন্ন সময়ে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এসব ঘটনায় লক্ষ্মীপুর থানা ও আদালতে উভয় পক্ষের একাধিক মামলাও চলমান। এ পরিস্থিতিতে ২০১২ সালে ধনাঢ্য নুরনবী গং স্থানীয় প্রভাবশালীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে জোর করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। পরে অপরপক্ষ লক্ষ্মীপুর ট্রাকচালক সমিতি কর্তৃপক্ষ উচ্চআদালতে পিটিশন দায়েরের করলে আদালত মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। ওই আদেশের ফলে নির্মাণ কাজ সাময়িক বন্ধ করেন নুরনবী গংরা।

উচ্চ আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকলেও দীর্ঘ বিরতির পর গত বুধবার থেকে ওই নির্মাণ কাজ ফের শুরু হয়। এ বিষয়ে ট্রাক সমিতির কর্তৃপক্ষ সদর থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেও সাড়া পায়নি বলে জানা যায়।

লক্ষ্মীপুর ট্রাক মালিক সমিতির সহসভাপতি সুজায়েত উল্যা জানান, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মার্কেটের নির্মাণ কাজ বন্ধে সহযোগিতা চেয়ে আদালতের আদেশের রেফারেন্স নিয়ে সদর থানা পুলিশের কাছে আবেদন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। উপরন্তু পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে নুরনবী গং বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছে।

এসময় তিনি আরো জানান, পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে আদালতের নিষেজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে ওই নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় তিনি অসহায় ও হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানান।

জানতে চাইলে নুরনবী গং এর পক্ষে একজন জানায়, স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হওয়ার পর মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক নেছার আহম্মদ উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয় স্বীকার করে বলেন, মালিকানা নিয়ে উভয়পক্ষে বিরোধ রয়েছে। তবে ওসি স্যারের আহবানে মীমাংসা ও শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি নিয়ে উভয়পক্ষের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত