ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পেলো না রেলস্টেশনের পাগলি

  মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৯, ২০:১৬  
আপডেট :
 ২২ মার্চ ২০১৯, ২০:৩৫

ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পেলো না রেলস্টেশনের পাগলি

শমশেরনগর রেলস্টেশনে মানসিক বিকারগ্রস্থ নারী (৪৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সকালে এ ঘটনা শুনে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী শমশেরনগর স্টেশন থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। নির্যাতিতা নারীর বাড়ি মাধবপুর ইউনিয়নের ছয়সিড়ি গ্রামে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা বলেও পুলিশ সূত্র জানায়।

গণধর্ষণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দুই নৈশ প্রহরীকে আটক করেছে। তারা হলেন- তজমুল আলী (৪৫) ও মনির মিয়া।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল ও আশ পাশ এলাকার এ দুজন নৈশ প্রহরী। তাই জ্ঞিাসাবাদের জন্য তাদেরকেই আগে আটক করা হয়েছে।

গণধর্ষনের শিকার নারীকে উদ্ধারের পর থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ায় সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। তবে তিনি যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তা বোঝা যাচ্ছে। তার বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়া হলেও তার সাথে দেখা করতে বা তার পাশে দাঁড়াতে কেউ এগিয়ে আসছে না।

হাসপাতালে যৌন হয়রানির শিকার চা শ্রমিক

এদিকে মৌলভীবাজারের শমশেরনগর চা বাগানের হাসপাতাল ল্যাবে পরপর দুই দিন যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক নারী চা শ্রমিক (২০)। এ ব্যাপারে তিনি কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। নারী চা শ্রমিকের অভিযোগে ল্যাব টেকনিশিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১৫ ও ১৬ মার্চ পর পর দুই দিন এ নারী যৌন হয়রানির শিকার হলে বুধবার রাতে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি অভিযুক্ত হাসপাতাল ল্যাব টেকনিশিয়ানকে আটক করে। পরে শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন- যৌন হয়রানির শিকার নারী শ্রমিকের লিখিত অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি ও চা বাগানের শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, শমশেরনগর চা বাগানের শিব মন্দির এলাকার এক নারী শ্রমিক (২০) চিকিৎসার জন্য কানিহাটিস্থ ক্যামেলিয়ান ডানকান ফাউন্ডেশন হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে তার রক্ত পরীক্ষার নামে টেকনিশিয়ান ফারুক আহমদ গত ১৫ মার্চ তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন। লজ্জায় নারী শ্রমিক এ ঘটনাটি কাউকে জানাননি। পরদিন ১৬ মার্চ আবার তিনি যৌন হয়রানির শিকার হলে বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। এ নিয়ে চা বাগানে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে বুধবার সন্ধ্যার পর নির্যাতিতা নারী চা শ্রমিক নিজে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে এসে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন।

অভিযুক্ত ল্যাব টেকনিশিয়ানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পরদিন বৃহস্পতিবার চা বাগানের শ্রমিক সন্তানরা ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন হাসপাতালে অবস্থান নেয়। এ খবর পেয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শ্রমিক সন্তানদের আসামিকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে তারা অবস্থান প্রত্যাহার করে।

এ দিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্ত ল্যাব টেকনিশিয়ান ফারুক আহমদকে আটক করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত