ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘অনলাইন টেলিভিশনের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০১৯, ১৭:৩৮  
আপডেট :
 ৩০ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪২

‘অনলাইন টেলিভিশনের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে’

অনলাইন টেলিভিশনের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার কন্সফারেন্স হলে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত ‘সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন টেলিভিশন (আইপিটিভি) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আইপিটিভির কোনো লাইসেন্স তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়নি। বিটিআরসি থেকেও সেভাবে কোনো লাইসেন্স দেওয়া হয় না। এ কারণে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইপিটিভিও একটি নীতিমালার মধ্যে থাকা দরকার। কেউ ৫০ কোটি বা ১০০ কোটি টাকা দিয়ে টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করবে আর কেউ ১০ লাখ টাকা দিয়ে তার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। হ্যাঁ, ১০ লাখ টাকা খরচ করে করতে পারলে অসুবিধা নেই। তবে সেটা নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে। সরকার এক টাকা রেভিনিউ পানে না, তার পক্ষপাতী আমি না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য বড় সমস্যা হলো- চ্যানেল বেড়েছে কিন্তু বিজ্ঞাপনের বাজার ছোট হয়েছে। একই সঙ্গে টেলিভিশনগুলো বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য নিজেরা প্রতিযোগিতা করে বিজ্ঞাপনের রেট কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক বিজ্ঞাপন চলে গেছে। এই সমস্ত কিছুর কারণে টেলিভিশনগুলোতে সংকট তৈরি হচ্ছে। এ সংকট সমাধানে আমি মনে করি একটি বড় ভূমিকা রয়েছে কেবল অপারেটরদের। কারণ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এটি না দেখানোর শর্তেই কেবল অপারেটররা লাইসেন্স নিয়েছেন। এখন যদি কেউ দেখায় সেটি দণ্ডণীয়।

তিনি বলেন, বিদেশি চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার না করতে আমরা এরইমধ্যেই ২ দফা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আগামী ১ এপ্রিল থেকে আইন প্রয়োগ করা হবে। আজও আবার বলছি, আগামীকাল আবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এরপর ১ এপ্রিল থেকে আইন প্রয়োগ করা হবে। আমি আশা করবো এ শিল্পকে বাঁচানোর স্বার্থে কেবল অপারেটরা সহযোগিতা করবেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত