ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ২৪ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

  পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:২২  
আপডেট :
 ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৪৯

কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ২৪ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

পিরোজপুরের নাজিরপুরে কৃমিনাশক ঔষুধ খেয়ে উপজেলার নাওটানা বিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ্ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে অসুস্থ্ ওই শিক্ষার্থীদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলী আশরাফ জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী মৃনাল হালদার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমি নাশক ঔষুধ খাওয়ান।

এর আধা ঘন্টা পরই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী লক্ষ্মী শিকদার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর কিছু সময় পরে একই শ্রেণির সুমি শিকদার, সুমাইয়া আক্তার, লিজা আক্তার, ইভা সরকার, ইলা সরকার, সাকুরা কনা, সপ্তম শ্রেণির মানছুরা আক্তার, লামিয়া আক্তার, স্বর্না বড়াল, রামিয়া আক্তার, নার্গিস আক্তার, দশম শ্রেণির মীম আক্তার সহ আরো অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এদের প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। পড়ে তাদের অবস্থা গুরুতর দেখা দিলে শিক্ষার্থীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা চলছে।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে অসুস্থ্ শিক্ষার্থীরা সকলেই ছাত্রী। চিকিৎসাধীন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তার জানায়, ওই কৃমি নাশক ঔষুধ খাওয়ার ১৫/২০ মিনিট পরই তার প্রথমে বমি বমি অনুভব হয়। পরে প্রচন্ড পেটে ব্যাথা ও হাত-পা খিচুনি শুরু হয়।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাকুরা খানম জানায়, ঔষুধ খাওয়ার কিছু সময় পর প্রচন্ড পেটে ব্যাথা ও মাথা ঘুরানো অনুভব হয়। সে কয়েক বার বমিও করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, আমি (ডা. রতন) নিজেই ওই অসুস্থ্ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের বড় কোন সমস্যা হবার কথা নয়।

এটা মাস রিএ্যাকসন (গন প্রতিক্রীয়া) নামে একটি রোগ। এটা একজনের হলে এর দেখা দেখি অন্য কারও এটা হয়ে থাকতে পারে। কৃমি নাশক ঐষধের কোন সমস্যায় এ ঘটনা ঘটেনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত