ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বৈশাখকে ঘিরে চাহিদা বেড়েছে কৃষি পণ্যের

  হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:০১

বৈশাখকে ঘিরে চাহিদা বেড়েছে কৃষি পণ্যের

দেশে একসময় বাঁশ ও বেতের তৈরি নানা সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু দিন দিন এর স্থান দখলে নিয়ে যাচ্ছে সহজলভ্য প্লাস্টিক পণ্য। একদিকে বাঁশ ও বেতের উৎপাদন কমে যাওয়া, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক শিল্পের প্রসার এর অন্যতম কারণ। তাছাড়া সরকারিভাবে বাঁশ ও বেত উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের তেমন কোনো পরামর্শ বা উৎসাহ দেয়া হচ্ছে না। ফলে নানা কারণেই শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে অবলীলায়।

তবে বৈশাখ মাস এলে এই বাঁশ শিল্পের কদর বেড়ে যায় স্ব-মহিমায়। এছাড়া কৃষি কাজে ব্যবহৃত অন্য সব ধরণের পণ্যেরও চাহিদা বাড়ে ব্যাপক হারে। সারাবছর কৃষি পণ্য উৎপাদনের সাথে জড়িতদের অলস সময় কাটলেও বৈশাখে বাড়ে তাদেরও কদর। এই সময়টাতে ব্যবসায়ীদের পণ্য সরবরায় করতে হিমশিম খেতে হয় তাদের (উৎপাদনকারীদের)।

সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারে কৃষি পণ্যের হাটে গিয়ে দেখা যায় বিশাল আয়োজন। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে যেন মেলায় পরিণত হয়ে উঠেছে বাজারটি। অথচ সারাবছর এই বাজারে থাকে অনেকটা সুনসান নীরবতা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সেখানে সব ধরণের কৃষি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তবে সব চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ধান-চাল নেয়ার সব চেয়ে সুবিধাজনক পণ্য বাঁশের ঝুঁড়ি। (যেটি স্থানীয়রা টোকরি, উড়া, পূজা বলে ডাকেন)। এছাড়াও ধান শুকানোর চাঁচ, কাগজের পাল, ধান রাখার ক্ষুত্র গোলা, ধান কাটার কাচি ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। ক্রেতাদের চাপে ধম পালানোর সুযোগ পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।

তবে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন তুলনামূলকভাবে দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, সারাবছর চাহিদা কম থাকায় এসব পণ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত অনেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনছে হচ্ছে তাদের (ব্যবসায়ীদের)।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী লিমন বলেন, ‘বৈশাখ মাসে ধান ঘরে তুলার জন্য বাঁশের জিনিসগুলো খুবই উপকারী। তাই এসব কিনতে এসেছি।’

নবীগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের ক্রেতা সমীরণ দাস বলেন, ‘অন্য সময়রে তুলনায় অনেক বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। মাঠের ধান ঘরে তুলার জন্য এসব পণ্যের তুলনায় নেই। তাই বেশি দামেই নিতে হচ্ছে।’

মো. মতিউর খান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সব কিছুতেই এখন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করেন। বৈশাখকে ঘিরে কৃষি পণ্যের ব্যবসায়ীরাও তাই করেছেন। সব ধরণের পণ্যের গলাকাটা দাম নিচ্ছেন তারা।’

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি ভিন্ন। ব্যবসায়ী আহমেদ আলী মকুল বলেন, ‘এসব পণ্য উৎপাদন করতে এখন বেশি খরচ বেশি হচ্ছে। যে কারণে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকেই আমাদেরকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে একটু বেশি দামে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত