৯৯৯ ফোন দিয়ে উদ্ধার হলো অপহৃত যুবক
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৩১
অপহরণের পরে পরিবারের স্বজনেরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সাহায্য চাওয়ার পরে আলী মুনসুর ইমরান খাঁন (৩৫) নামে এক অপহৃত যুবককে উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জড়িত অভিযোগে ৫ অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের বাবর আলী গেট এলাকাস্থ স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিস থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে নাসিম আহম্মেদ নীল (২০), একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মইনুল ইসলাম বর্ষণ (১৯), মোহিনীমহন চক্রবর্তী লেনের বাসিন্দা শাহীন আশরাফের ছেলে স্বপ্নিল আশরাফ স্বপ্ন (১৯) ও শহরতলীর জগতি কৃষক পাড়া এলাকার শাহাদাত আলীর ছেলে ইমন আলী(১৯)।
উদ্ধার পাওয়া অপহৃত আলী মুনসুর ইমরান খাঁন ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের মোরতাজ আলী খাঁনের ছেলে। তিনি আজিজ বিড়ি কোম্পানিতে এম আই পদে চাকুরী করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া শহরতলীর আলফামোড় থেকে আলী মুনসুর ইমরান খাঁন (৩৫) নামে ঐ ব্যক্তিকে অপহরণের পর তাকে শহরের বাবর আলী গেট এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহৃত’র পরিবারের কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। আলী মুনসুর ইমরান খাঁনের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জরুরি সহায়তা নাম্বার ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাইলে অপহৃতকে উদ্ধারে নামে পুলিশ। এসময়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণে রাজি হয়ে অপহৃত ইমরানের স্বজনদের কুষ্টিয়া শহরের ডাচবাংলা ব্যাংকের সামনে আসতে বলে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ নিতে এসে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সাদা পোশাকের পুলিশের কাছে আটক হয় দু’জন। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে শহরের ঐ পত্রিকা অফিসে অভিযান চালিয়ে অপহৃত আলী মুনসুর ইমরান খাঁনকে উদ্ধার এবং ঘটনাস্থল থেকে আরো ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনায় অপহৃত আলী মুনসুর ইমরান খাঁন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ
