ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রেমিককে মেরে পুঁতে রাখার বর্ণনা দিলো প্রেমিকা

  হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৫১

প্রেমিককে মেরে পুঁতে রাখার বর্ণনা দিলো প্রেমিকা

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়ন মেদি বিল থেকে উজ্জ্বল মিয়া (২২) নামের এক কলেজছাত্রের অর্ধগলিত বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার একদল পুলিশ ধর্মপুর গ্রামের দক্ষিণে মেদি বিলে কচুরিপানা ও পানির নিচ থেকে উজ্জ্বলের বস্তাবন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করেন। পরনের প্যান্ট দেখে লাশটি উজ্জ্বল মিয়ার বলে নিশ্চিত করেন তার পিতা শাহ আলম। তিনি সৈয়দ সাঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনার নিহত উজ্জ্বল মিয়ার বান্ধবী ফারজানা আক্তার ও তার পিতা মঞ্জু মিয়াকে পুলিশ আটক করেছে।

জানা যায়, গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে লাখাই থানায় ১টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তার স্বজনরা কোনো সন্ধ্যান পাননি। এদিকে গত সোমবার বিকালে মেদি বিলে কচুরিপানার নিচ থেকে বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাখাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ সময় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের বান্ধবী মুড়িয়াউক ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের ফারজানা আক্তার ও তার পিতা মঞ্জু মিয়াকে পুলিশ আটক করে।

এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক লাখাই থানা আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ এ ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ফারজানার সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলেও তার পিতা জড়িত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বলে উল্লেখ করেন তিনি। জানা যায়, গত ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে উজ্জ্বল মিয়া একই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়ার কন্যা প্রেমিকা ফারজানার বাড়িতে দেখা করতে যায়। একপর্যায়ে প্রেমিকার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয়। এ সময় প্রেমিক উজ্জ্বল মিয়ার মোবাইলে অন্য একটি মেয়ের ফোন আসে। এতে প্রেমিকা ফারজানা ছাড়াও অন্য মেয়ের সঙ্গে উজ্জ্বলের সম্পর্ক আছে জেনে ফারজানা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রেমিক উজ্জ্বলকে শীল-নোড়া দিয়ে মাথায় ও বুকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে উজ্জ্বল অচেতন হয়ে পড়েন। তার হাত ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে ফারজানা ঢাকায় অবস্থানরত মা বাবার কাছে চলে যায়।

পরে ফারজানার পিতা বিষয়টি অবগত হয়ে ১০-১২ দিন পর গ্রামের বাড়িতে এসে লাশ বস্তাবন্দি করে উল্লিখিত মেদি বিলে ফেলে দেয়। এদিকে নিখোঁজ উজ্জ্বলের পিতা লাখাই থানার গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ প্রেক্ষিতে থানার এসআই আমিনুল ইসলাম তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রেমিকার সন্ধান পান এবং প্রেমিকা ও তার পিতাকে আটক করেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে তথ্যের ভিত্তিতে উল্লিখিত স্থান থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত