পোড়া শরীর নিয়ে বিনা চিকিৎসায় ১৬ দিন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩৩
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বজ্রপাতে লায়েক মিয়া (১৮) নামে এক তরুণের শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। অথচ টাকার অভাবে ১৬ দিনেও হয়নি কোনো চিকিৎসা। বিনা চিকিৎসায় এই তরুণ এখন মৃত্যু পথযাত্রী।
সে নবীগঞ্জ উপজেলার গুমগুমিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল গুমগুমিয়ার গ্রামের পাশে ‘গরশোলা’ হাওরে ধান কাটতে যায় লায়েক। এসময় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে তার উপর বাজ পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ ঝলসে গেছে।
তবে লায়েক মিয়াকে টাকার অভাবে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি। তাই পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। ৬৫ শতাংশ ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়েই দীর্ঘ ১৬ দিন ধরে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে পড়ে রয়েছে হতভাগা এই তরুণ। অসহ্য যন্ত্রনায় নিদ্রাহীন দিনরাত কাটছে তার। যন্ত্রনায় ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার করে উঠছে। অথচ সমাজের কোন বিত্তবানও এগিয়ে আসছেন না তার পাশে।
এ ব্যাপারে লায়েক মিয়ার পিতা আব্দুর রহিম বলেন- ‘আমি গরিব কৃষক। টাকা পয়সা নেই, নেই কোনো সহায়-সম্পত্তি। টাকার অভাবে মৃত্যুর মুখে পড়ে থাকা ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। পাশে বসে বসে ছেলের মৃত্যু যন্ত্রণা দেখছি।’
তিনি বলেন- ‘যদি জায়গা-জমিন থাকত, তাহলে তা বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করাতাম। কিন্তু আমার কিছুই নাই। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে না আসলে আমার ছেলেকে আমি বাঁচাতে পারব না।’
এমএ/
