ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৩০

চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান। রমজান উপলক্ষে সবজির দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে রাখতে চাইলেও তা দিন দিন বেড়েই চলছে। গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। অধিকাংশ সবজিতেই কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। শুক্রবার রাজধানীর জিগাতলা বাজার, রায়ের বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা পেঁপে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। পাকা টমেটো ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সজনে ডাটা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।

প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি ধুন্দুল ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, কাঁচা মরিচের কেজি ৮০ টাকা।

এ ছাড়া, বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ টাকা। আর প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫ টাকা।

এদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬৫ টাকা কেজি দরে। শুক্রবার তা বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিকেজি ১৫৫ টাকা। লাল লেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ১ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। তবে আগের দামেই খাসির মাংস ৭২০ টাকা কেজি, গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা দরে।

কারওরান বাজারের পাইকারি অংশে দেশি পেঁয়াজ ২৬ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি। খুচরা বাজারের মধ্যে মহাখালীর বউবাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা খালেক বলেন, মাস খানেক আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ২২ টাকা ছিল। এখন ২৮ টাকা। দাম আরও বাড়তে পারে।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে আরেক বিক্রেতা শহিদুল বলেন, তখন পেঁয়াজ কাঁচা ছিল, ফলে নষ্ট হয়ে যেত। এখন কিছুটা পুরাতন হয়েছে তাই দামও বেড়েছে।

পাইকারি বাজারে রসুন ৯৫ টাকা ও আদা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে বিক্রেতারা দাবি করেছেন। তবে এক মাস আগেও রসুন ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রোজার অন্যতম ভোগ্য পণ্য ছোলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য এটা পাইকারি বাজারের দাম। খুচরা বাজারে দাম আরেকটু বেশি। তবে সব মিলিয়ে ছোলার দাম স্থির রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

মাংসের মধ্যে কারওয়ান বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায় ও খাসি ৭৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা, পাকিস্তানি ২৬০ ও দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত