স্বামী-স্ত্রী সেজে গণধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৩৪
কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিলো গণধর্ষণ মামলার মূলহোতা রাজনগর থানা এলাকায় রয়েছে। খবর পেয়েই কুলাউড়া থানার কৌশলী পুলিশ কর্মকর্তারা একটি পরিকল্পনা তৈরি করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যেভাবেই হোক ধর্ষণকারী শুকুরকে পুলিশের খাঁচায় বন্দি করতে হবে।
যেই কথা সেই কাজ। পরিকল্পনার মধ্যে এএসই নাজমুলকে স্বামী, কনস্টেবল জুনেদকে কালো বোরকা পরিয়ে স্ত্রী সাজিয়ে অভিযানে নামে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
স্বামী-স্ত্রীর মোটরবাইক চলতে থাকে শুকুর আলীকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা লক্ষ্য করে। স্ত্রীর গায়ে সিএনজি দিয়ে ধাক্কা দেয়ার অভিযোগ তুলে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন ছদ্মবেশে থাকা এএসআই (স্বামী) নাজমুল। একপর্যায়ে সিএনজি অটোরিকশা তল্লাশি চালিয়ে ১৭ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা শুকুর আলীকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজার থেকে এমন নাটকীয়তা করে ঘটনার ১০ দিন পর শুকুরকে আটক করা হয়। এর আগে ঘটনার সাথে জড়িত অপর পাঁচ আসামিকে আটক করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাজনগর উপজেলা সদরে ছদ্মবেশে অপেক্ষায় থাকে। এরপর শুকুর আলীকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করে শুকুর আলীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রথমে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সিএনজি অটোরিকশা চালক হাসান মিয়াকে (২৫) আটক করতে সক্ষম হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পুসাইনগর ও জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্ত এলাকা থেকে বিলাল মিয়া (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (২৬), সুজন মিয়া (২২) ও সুফিয়ান মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। এরমধ্যে বিলাল ও জাহাঙ্গীর দালালের মাধ্যমে চোরাই পথে ভারতে পালানোর চেষ্টা চালায়।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে পৌর এলাকার বাসিন্দা ১৭ বছরের কিশোরীকে ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে ৭ দুর্বৃত্ত মিলে ধর্ষণ করে। সেই দৃশ্য তারা মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা কুলাউড়া থানায় শুকুর আলীকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে
