ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫০ মিনিট আগে
শিরোনাম

অনলাইন সংবাদমাধ্যমে অভ্যস্ত হতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ২১:২৮  
আপডেট :
 ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৪০

অনলাইনে অভ্যস্ত হতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ

সংবাদ মাধ্যমের পরিবর্তনের ধারায় অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে গ্রহণ করে তাতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তার সাম্প্রতিক ব্রুনেই সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

ছাপা পত্রিকার সামনে প্রযুক্তি যে বাস্তবতা দাঁড় করিয়েছে সেটা সংশ্লিষ্টদের মানতেই হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল বাংলাদেশে নয়, প্রযুক্তি সারাবিশ্বের মানুষের জন্য নানা সুযোগ সৃষ্টি করেছে, আধুনিকতার জায়গায় নিয়ে গেছে। সেজন্য এক ধরণের ধারাবাহিকতায় চলতে থাকলে হবে না। আধুনিকতা ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আধুনিক যুগে পৃথিবীর বহু দেশে অনেক নামিদামি পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। ছাপা কাগজের পরিবর্তে সেখানে অনলাইন সংস্করণগুলো চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি পত্রিকা শুধু অনলাইনেই চলে; ছাপানোটা আর হয় না, একদম নাই। এ রকম বহু নামকরা পত্রিকা এখন চলে গেছে অনলাইনে। কাগজ আর ব্যবহারই হয় না। এটা হচ্ছে একটা যুগের অথবা প্রযুক্তির প্রভাব। প্রযুক্তি ও আধুনিকতার প্রভাবে এভাবে বিবর্তন আসতেই থাকবে।

বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক সংবাদপত্র জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দৈনিক পত্রিকা প্রায় ৭০০ এর ওপরে। মফস্বলে আমাদের প্রচুর পত্রিকা। এত পত্রিকা মনে হয় পৃথিবীর কোনো দেশে চলে না। কোনো দেশে নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে একটি মাত্র কোম্পানি। তাদের পত্রিকা। সেটাও সরকার স্পন্সরড। তাদেরই বিভিন্ন ভাগাভাগি। ব্যবসা, খবর, বিনোদন, স্পোর্টস এ রকম ভাগাভাগি। অন্যান্য সব দেশেও। আমাদের প্রতিটি আশপাশের দেশে দেখেন। আমাদের মতো এত পত্রিকা কিন্তু কোনো দেশে নেই।

টেলিভিশন শিল্প বিজ্ঞাপন বাজার নীতির কারণে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত, সাংবাদিকদের তরফ থেকে সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, এক দিকে টেলিভিশন সংকটে অন্যদিকে অনেকেই নতুন নতুন টেলিভিশন চাইছেন। এটা তো হতে পারে না।

সরকারপ্রধান বলেন, এখনো অনেকে চ্যানেল চাইছে। তথ্যমন্ত্রীর (ড. হাছান মাহমুদ) সঙ্গে কথা হচ্ছিলো। বললাম যতো চাইছে, দিয়ে দিতে। কিছু না হোক, কিছু লোকেরতো চাকরি হবে, কর্মসংস্থান হবে। যে যত চাক, সে তত পাক, আমার অসুবিধা নেই। ভালো অনুষ্ঠান যারা করবে, তাদের প্রতি মানুষের আকর্ষণ হবে, মানুষ দেখবে। আমাদেরও তো ১৬ কোটি মানুষের দেশ। গ্রাহক কখনো কমবে না, এটুকু বলতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা সবকিছু ডিজিটালাইজড করে দিয়েছি, স্যাটেলাইটও হয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও টিভি চালানো যায়। তিন মাসের জন্য বিনা পয়সায় (টিভি চ্যানেল) চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চ্যানেলগুলো সেভাবে নিচ্ছে না। অথচ বিদেশি জায়গায় অনেক টাকা দিচ্ছে। কিভাবে আমাদের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অল্প খরচে টেলিভিশন চালাতে পারে সেজন্য কথা চলছে।

ওয়েজ বোর্ড কার্যকর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েজবোর্ড নিয়ে যেটা করণীয় সেটা আমরা করে দিয়েছি। এটি নির্ভর করছে মালিকপক্ষ কতটুকু বাস্তবায়ন করবে তার ওপর। সাংবাদিকরা সেখান থেকে যতটুকু আদায় করে নিতে পারেন সেটাও দেখার বিষয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত