তীব্র গরমেও কম্বল বিতরণ, যা বললেন সেই ইউএনও
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৪৫
তীব্র গরমে কম্বল বিতরণ করার কারণ জানালেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন চৌধুরী।
৪০ ডিগ্রি গরমে কম্বল বিতরণের পর সমালোচনার মুখে পড়া ইউএনও শনিবার দুপুরে বলেন, ইউএনও’র একটা ত্রাণ শাখা আছে, সেখানে কম্বল ছাড়া আর কিছু থাকে না। গতবারের শীতকালের কিছু কম্বল রয়ে গিয়েছিল, আমি সেইখান থেকেই কিছু কম্বল নিয়ে ছুটে গিয়েছি। এছাড়া টিন এবং টাকার যে ব্যাপারটা রয়েছে সে বিষয়ে ডিসি সাহেবকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি।
তিনি বলেন, কম্বল ছাড়া টাকা ও টিন দেয়া হয়, তবে সেটা এখন জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া হয়। নগদ অর্থ এবং কম্বল ছাড়া অন্য কোনো সাহায্যের ব্যবস্থা নাই। তাছাড়া আজ কালকের মধ্যেই জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষ থেকে তাদের টিন এবং অর্থ সাহায্য করা হবে।
ঠিক কী ভেবে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কম্বল দেয়া আপনার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও জোবায়ের হোসেন বলেন, আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, আমি তাদের কাছে গিয়ে দেখেছি তাদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নাই। রাতে যদি একটা মানুষের ঘুমাতে হয়, অন্ততপক্ষে নিচে কিছু দিয়েও তো ঘুমাতে হয়। একেবারে মাটিতে তো মানুষ শুতে পারে না। আমি ভেবেছি তারা অন্তত কিছু সাহায্য পাক। কিছু সাংবাদিক এটিকে বাড়িয়ে দেখছেন। এটি আমলে নিলে নেয়া যায়, তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা যায়। এটা তো আর মাদক না যে এতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।
এর আগে ১৯ এপ্রিল কুষ্টিয়ার হরিপুরে অগ্নিকাণ্ডে দিনমজুর জাকিরুলসহ দুটি পরিবারের সদস্যদের সবকিছু পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুুটে যান কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেন শীতকালের কিছু কম্বল।
এরপরই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
ওইদিন কুষ্টিয়ার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে জানিয়েছে কুষ্টিয়া আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই