ধান পোড়ানোর ঘটনা পরিকল্পিত: খাদ্যমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মে ২০১৯, ১৩:৪৯
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘টাঙ্গাইলে ধান পোড়ানোর ঘটনা একটি পরিকল্পিত বিষয়। কারণ একজন পিতা তার সন্তান বিকলাঙ্গ হোক না কেন গলাটিপে মেরে ফেলতে পারবে না। ধানের দাম দুইশত টাকা হলেও কৃষক পোড়াবে না। মনে ক্ষোভ হবে।’
বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিভাগ আয়োজিত অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু এমনই পরিকল্পিত যে, প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্টাররা সকালেই চলে গেল। টিভি সকাল বেলাই চলে গেল। তার পরে ধানে আগুন দেয়া হলো। এটি সরকারকে প্রর্যুদস্ত করার একটা পরিকল্পনা।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা শপথ নিতে চাই প্রকৃত প্রান্তিক কৃষক ছাড়া ধান একটি কেজিও বাইরে কিনতে দেব না। কারণ সরকারকে পর্যুদস্ত করার জন্য নানা ভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। আমিও একজন কৃষক। ধান বিক্রি করি। আমারও কষ্ট আছে। আমি এবং কৃষিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। কারণ প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান না কেনা পর্যন্ত আমরা কিন্তু কৃষকদেরকে ঠিক মতো মূল্যায়ণ করতে পারবো না। কারণ যে লক্ষ টন ধান কেনা তা এক্কেবারে কম বলে আমি মনে করি।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার আরো বলেন, ‘১০ লক্ষ টন সিদ্ধ চাউল, দেড় লক্ষ টন আতপ চাউল কেনা সম্ভব। কিন্তু ধান এবং চাউল যদি একই গোডাউনে রাখা যায় তাহলে ধান ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাউল ও ক্ষতি গ্রস্ত হয়। কৃষকেরা ধান নিয়ে আসার পরে ১৪ শতাংশ ময়েশ্চার যেন না থাকে তখন ওসি এল এস ডিও মনে করে এ ধান নেয়া যাবে না। যতই ঘোরানো যায় ততই মজা পাওয়া যায়। তার ওপর লেবারদের একটি খবরদারি দিয়ে দেয় তোরা অত্যাচার করবি যাতে কৃষকরা চলে যায়। এটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইফতেখার উদ্দিন শামীম, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কে.এম হোসেন আলী হাসান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মোতালেব, কাজীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী, প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে