ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধা চাচার সনদে চাকরি করছেন ভাতিজা!

  বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৯, ১৪:৫০  
আপডেট :
 ১৯ মে ২০১৯, ১৪:৫২

মুক্তিযোদ্ধা চাচার সনদে চাকরি করছেন ভাতিজা!
প্রতীকী ছবি

চাচা সোনা মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বগুড়ার ডিসি অফিসে সরকারি চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহিন মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, চাকরি পাওয়ার পর চাচাকে তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিতও করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি চাচাকে বাবা হিসেবে দেখিয়েছেন।

ভুক্তভোগী সোনা মিয়া এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তবে শাহিন মিয়ার দাবি, রাজা মিয়া তার বাবা হলেও কাগজে-কলমে মুক্তিযোদ্ধা সোনা মিয়া তার বাবা।

সোনা মিয়ার অভিযোগ, তার ছোট ভাই রাজা মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া সোনাতলার ভেলুরপাড়ার এনায়েত আলী হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদপত্রে বাবার নাম রাজা মিয়ার পরিবর্তে তার নাম দেয়। ওই সনদপত্র ও তার মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৯৯৯ সালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের অফিসে রাজস্ব খাতে পিয়ন পদে চাকরি পায়। প্রথমে সোনাতলার মধুপুর ইউনিয়নের হরিখালী ভূমি অফিসে যোগ দেয়। শাহিন বর্তমানে নন্দীগ্রাম উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত। কিন্তু বিয়ের কাবিননামায় শাহিন তার বাবার নাম রাজা মিয়া উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, শাহিন তার উত্তরাধিকারী হিসেবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেজে চাকরি নেয়। এরপর কৌশলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার দাবিদার সাজে। এছাড়া তাকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করতে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে।

মুক্তিযোদ্ধা সোনা মিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) এবং দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ ছাড়াও নোটারি পাবলিকের সামনে এফিডেভিট করেছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুস সামাদ তার কার্যালয়ে ২৪ এপ্রিল এ নিয়ে শুনানি করেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুস সামাদ জানিয়েছেন, এ নিয়ে তদন্ত চলছে। শিগগিরই উভয়পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকা হবে। এরপর এ ব্যাপারে মন্তব্য করা সম্ভব না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত